সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহের জেরে, শ্বাশুড়িকে নাতি কোলে নিতে দিলেন না মা!

মা ও ছেলের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা কতখানি, তা হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু বিয়ের পর সেই সম্পর্কে চিড় ধরলে মানসিক কষ্টের সীমা থাকে না।

সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে পুত্রবধূর সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় শাশুড়িকে নাতির মুখ দেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পুত্রবধূ।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি তাঁর পুত্রবধূকে পছন্দ করতেন না।

বিয়ের চার বছর পরেও নাকি তিনি প্রায়ই এমন কথা বলতেন, যেন পুত্রবধূ তাঁর ছেলেকে ‘ফাঁদে’ ফেলেছেন। এমনকি, যখন পুত্রবধূ মা হতে চলেছিলেন, তখনও নাকি শাশুড়ি প্রায়ই ঠাট্টা করে বলতেন, সন্তানের আসল বাবা কে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সন্তান জন্ম নেওয়ার দু’দিন পরেই ছেলের কাছে একটি বার্তা পাঠান শাশুড়ি। সেখানে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

মায়ের এই কথায় স্বামী অত্যন্ত রেগে যান এবং মাকে উপযুক্ত জবাব দেন।

অন্যদিকে, মা তাঁর এই আচরণকে ‘ছোট্ট একটা প্রশ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করে সবার সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেন। এমনকি, তিনি নাকি গোপনে নাতির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চেষ্টা করেছিলেন!

পুত্রবধূর চুল বা থুতু সংগ্রহ করারও ফন্দি এঁটেছিলেন তিনি।

এই ঘটনার পর ওই নারী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শাশুড়িকে তিনি আর তাঁর মেয়ের কাছে ঘেঁষতে দেবেন না।

তাঁর স্বামী প্রথমে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, কারণ তিনি চাইছিলেন, মা অন্তত একবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করুক, যাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে ভুল না বোঝে।

তবে স্ত্রীর যুক্তির কাছে তিনি হার মানেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার কথা জানানোর পর অনেকেই ওই নারীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

তাঁদের মতে, সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে শাশুড়ি আসলে ভুল করেছেন, তাই এমন সিদ্ধান্তের শিকার হওয়া তাঁর প্রাপ্য ছিল।

এই ঘটনা, মা ও ছেলের সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশের কুফল এবং পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতাকেই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *