মায়ের মৃত্যুরহস্য: ২৪ বছর পর আসল খুনি!

দীর্ঘ ২৪ বছর পর, অবশেষে জানা গেল কে খুন করেছিলো লেসলি প্রিরকে। আমেরিকার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের একটি শহরতলীর এই ঘটনা, যা এক সময় ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল, সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইউজিন টিওডর গ্লিগোরকে, যিনি নিহত লেসলির মেয়ের বন্ধু ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০১ সালের মে মাসে, যখন লেসলি প্রিরকে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা প্রথমে এই হত্যারহস্যের কিনারা করতে ব্যর্থ হন।

ঘটনার পরে পাওয়া ডিএনএ-র সূত্র ধরে কোনো সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা যায়নি। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান, বিশেষ করে ফরেনসিক ডিএনএ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে, তদন্তকারীরা নতুন করে কাজ শুরু করেন।

২০২২ সালে, পারিবারিক ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা একটি সূত্র খুঁজে পান। এর মাধ্যমে তারা গ্লিগোরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন। জানা যায়, গ্লিগোর একসময় লেসলির মেয়ে লরেনের বন্ধু ছিলেন।

লরেন যখন ১৫ বছরের কিশোরী ছিলেন, তখন তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। ঘটনার এতদিন পরে, যখন গ্লিগোরকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো, তখন লরেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, “এটা ছিল কল্পনারও অতীত।”

মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে, এই প্রথম পারিবারিক ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কোনো খুনের মামলার সমাধান করা হলো। তদন্তকারীরা গ্লিগোরের ডিএনএ-র প্রমাণ হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া বিভিন্ন নমুনা বিশ্লেষণ করেন।

আদালতে গ্লিগোর তার দোষ স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি জামিনবিহীন অবস্থায় আটক আছেন এবং আগামী ২৮শে আগস্ট তার সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মামলার গুরুত্ব শুধু একজন ব্যক্তির বিচার নয়, বরং এটি আধুনিক ফরেনসিক প্রযুক্তির সাফল্যের প্রমাণ। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত থাকা একটি হত্যারহস্যের জট খুলেছে এবং মৃতের পরিবার অবশেষে কিছুটা হলেও শান্তি খুঁজে পাবে।

এই মামলার রায় ঘোষণার পর জানা যাবে, অভিযুক্তকে কত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *