মা দিবসে মা ও ছেলের অসাধারণ কীর্তি! একসঙ্গে স্নাতকোত্তর, চোখে জল সবার

মায়ের দিবসের সপ্তাহে, আমেরিকার টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটি (টিসিইউ) থেকে মা ও ছেলের একসঙ্গে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের এক বিরল ঘটনা ঘটেছে। এই অসাধারণ সাফল্যের সাক্ষী হয়েছেন ব্র্যান্ডি ফিল্ডস (৫০) এবং তাঁর ছেলে কাইল ফিল্ডস (২২)।

মা ব্র্যান্ডি অর্জন করেছেন এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রি, আর কাইল লিবারেল আর্টস-এ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে যখন তাঁরা তাঁদের ডিগ্রি গ্রহণ করছিলেন, তখন তাঁদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছোঁয়া। মা ও ছেলের এই যৌথ সাফল্য শুধু তাঁদের কাছেই নয়, বরং সকলের কাছেই এক অনুপ্রেরণা।

ব্র্যান্ডি জানান, “ছেলের সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া আমার কল্পনার বাইরে ছিল। আমরা দু’জনেই একে অপরের প্রতি সবসময় সহযোগী ছিলাম, কঠিন সময়েও একে অপরের পাশে থেকেছি। মা দিবসের সপ্তাহে একসঙ্গে মঞ্চে ওঠা আমাদের পরিবারের জন্য সত্যিই একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল।”

কাইল জানান, মা যখন আবার পড়াশোনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, বিশেষ করে টিসিইউ-তে, তখন তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। কাইল এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিউনিকেশন স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

তাঁর কথায়, “আমি মাকে দেখে সবসময় অনুপ্রাণিত হয়েছি। তিনি যখন কাজ থেকে ফিরে এসেও পড়াশোনায় মন দেন, তখন মনে হয়, আমাকেও তাঁর পথ অনুসরণ করতে হবে।”

ব্র্যান্ডি তাঁর এই সাফল্যের পেছনে পরিবারের সমর্থনকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ছেলেকে পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারাটা তাঁর জন্য অনেক আনন্দের ছিল।

পড়াশোনার কঠিন সময়ে তাঁরা একে অপরের পাশে ছিলেন। এমনকি, ছেলেকে অনুসরণ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াটা তাঁর জন্য বেশ মজার অভিজ্ঞতা ছিল।

এই সাফল্যের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কাইল আরও বলেন, “মাকে এত সময় পড়াশোনার জন্য দিতে দেখে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। মা সবসময় চেয়েছেন ভালো কিছু করতে এবং তিনি তা প্রমাণ করেছেন।”

মা ও ছেলের এই অসাধারণ সাফল্যের গল্প নিঃসন্দেহে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে যেখানে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম, সেখানে এই ধরনের ঘটনা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।

পরিবারের সমর্থন ও অধ্যবসায় থাকলে যে কোনো কিছুই জয় করা সম্ভব, ব্র্যান্ডি ও কাইলের এই সফলতাই তার প্রমাণ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *