গতকাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট সেন্ট হেলেন্সে অগ্ন্যুৎপাতের মতো দৃশ্য দেখা গেলেও, আসলে তেমন কিছুই ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) নিশ্চিত করেছে যে এটি কোনো অগ্ন্যুৎপাত ছিল না, বরং ৪০ বছরেরও বেশি আগের এক ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের স্মৃতিচিহ্ন।
১৯৮০ সালে এই অঞ্চলে হওয়া বিশাল অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জমা হওয়া ছাই, তীব্র বাতাসের কারণে আকাশে উড়ে আসে।
এতেই এমন দৃশ্য তৈরি হয়, যা দেখে প্রথমে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে, ইউএসজিএস জানিয়েছে, এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
সেখানকার সতর্কতা সংকেত এখনো সবুজ, যা স্বাভাবিক পরিস্থিতি নির্দেশ করে।
মাউন্ট সেন্ট হেলেন্সের এই ঘটনা নতুন নয়।
শুকনো আবহাওয়া ও শক্তিশালী বাতাস একত্র হলে, পুরনো ছাই পুনরায় আকাশে উড়ে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়েছে।
এর ফলে তীব্র গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে, যা এই ঘটনার কারণ।
বাতাসের কারণে ছাই কয়েক হাজার ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে গিয়েছিল, যা স্যাটেলাইট এবং পাইলটদের চোখে ধরা পড়ে।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে ছাই উড়ে আসার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে এবং বাতাসের গুণগত মান কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তবে ইউএসজিএস নিশ্চিত করেছে, এই ঘটনার কারণে মাউন্ট সেন্ট হেলেন্সে কোনো বড় ধরনের ঝুঁকির সৃষ্টি হয়নি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছাইয়ের বিস্তারও কমে আসবে।
বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
তথ্য সূত্র: সিএনএন