তুরস্কে ফুটবল: মাঠের বাইরেও উত্তাপ, প্রতিপক্ষের ম্যানেজারকে ‘আক্রমণ’ করলেন মরিনহো।
ফুটবল মাঠের লড়াইয়ের উত্তেজনা অনেক সময়ই গ্যালারি ও ড্রেসিংরুমে ছড়িয়ে পরে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল তুরস্কের ফুটবল।
ফেনারবাখকে ২-১ গোলে হারিয়ে তুরস্ক কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল জেতার পর গ্যালারি উত্তপ্ত হওয়ার পাশাপাশি মাঠের বাইরেও চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন অভিজ্ঞ কোচ হোসে মরিনহো।
ম্যাচ শেষে গ্যালারির উত্তেজনার মধ্যেই গ্যালাতাসারায়ের ম্যানেজার ওকান বুরুকের দিকে তেড়ে যান মরিনহো। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বুরুকের নাকে আঘাত করেন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে, যেখানে দেখা যায়, বুরুক মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন এবং নিজের মুখ ধরে আছেন।
এরপর অন্যান্য কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে মরিনহোকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গ্যালাতাসারায়ের ভাইস- প্রেসিডেন্ট মেতিন ওজতুর্ক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ম্যাচ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর মরিনহো প্রথমে মৌখিকভাবে এবং পরে শারীরিকভাবে বুরুকের ওপর হামলা করেন।
বিশ্বে আর কোথায় এমনটা হতে পারে? তুরস্ককে তিনি কী মনে করেন?” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার বিশ্বাস, ফেডারেশন ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ফেনারবাখের ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
অন্যদিকে, বুরুক অবশ্য এই ঘটনাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমার এবং মরিনহোর মধ্যে তেমন কিছু হয়নি।
তিনি পেছন থেকে আমার নাকে টোকা মেরেছিলেন। সামান্য আঁচড় লেগেছে।
অবশ্যই, এটা খুব ভালো বা মার্জিত কিছু ছিল না। আমরা ম্যানেজারদের কাছ থেকে এমন পরিস্থিতিতে আরও উপযুক্ত আচরণের প্রত্যাশা করি।
আমি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাই না, তবে এটা মার্জিত ছিল না।”
এই ম্যাচে ভিক্টর ওসিমহেনের জোড়া গোলে জয় পায় গ্যালাতাসারায়। খেলার দশম মিনিটে প্রথম গোল করার পর, পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।
অন্যদিকে, ফেনারবাখের হয়ে একটি গোল শোধ করেন সেবাস্টিয়ান সিমানস্কি।
খেলার শেষ মুহূর্তে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি হয়, যার ফলস্বরূপ গ্যালাতাসারায় থেকে বারিস আলপার ইলমাজ ও কেরেম দেমিরবে এবং ফেনারবাখ থেকে মের্ত হাকান ইয়ানদাসকে লাল কার্ড দেখানো হয়।
ঘটনার জেরে মরিনহোকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি।
উল্লেখ্য, এর আগেও বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মরিনহো।
২০২১ সালে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার থাকাকালীন বার্সেলোনার সহকারী কোচ টিটো ভিলানোভার চোখে আঘাত করার দায়ে দু’ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
ইউরোপের অন্যান্য কাপ ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকালে দেখা যায়, জার্মান কাপের ফাইনালে উঠেছে স্টুটগার্ট।
তারা আরবি লাইপজিগকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে।
ইতালিয়ান কোপা ইতালিয়ায় এসি মিলানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান।
এছাড়া, ফরাসি কাপে কানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রেইমস।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান