এভারটনের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এমনটাই মনে করেন ক্লাবটির ম্যানেজার ডেভিড ময়েস। শীর্ষস্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে ভালো খেলার ফলস্বরূপ খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) এপ্রিল মাসে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল এভারটন। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল লিভারপুল, আর্সেনাল, নটিংহ্যাম ফরেস্ট, ম্যানচেস্টার সিটি এবং চেলসির মতো শক্তিশালী দলগুলো।
ডেভিড ময়েস যখন ক্লাবে ফিরে আসেন, তখন তিনি এই কঠিন সূচি দেখে খুব বেশি পয়েন্ট আশা করেননি। তবে, লিভারপুলের বিপক্ষে সামান্য ব্যবধানে হার, আর্সেনালের সাথে ড্র এবং নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে জয়—এভারটনের খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছে।
ময়েস মনে করেন, খেলোয়াড়রা এখন বুঝতে পারছে যে তারা উচ্চ পর্যায়ে খেলতে সক্ষম। তিনি বলেন, “তাদের অনেকেই এখন বলতে শুরু করেছে, ‘আমরা এই স্তরে খেলতে পারি’।
কয়েক সপ্তাহ আগেও আমি বলেছিলাম, শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স কেমন হয়, সেটা দেখার মতো হবে। খেলোয়াড়দের মাঠে নামার সুযোগ দিতে হবে।
আমরা হয়তো লিগের অন্য দলগুলোকে হারাতে পারি, তবে শীর্ষ দলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছি কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। আমার মনে হয়, তাদের মধ্যে অনেকেই ভালো খেলছে।”
জানুয়ারিতে শন ডাইচের (Sean Dyche) পরিবর্তে ময়েস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এভারটন ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। এই সময়ে লিভারপুল, ক্রিস্টাল প্যালেস, আর্সেনাল এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো দলগুলোও ভালো ফল করেছে।
ডাইচের অধীনে ১৯টি লিগ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটি জয়ের পর এভারটন যখন অবনমন অঞ্চলের (relegation zone) কাছাকাছি ছিল, তখন ময়েসকে নিয়োগ করা হয়। ময়েস স্বীকার করেছেন, দলের এই উন্নতি খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে।
এই গ্রীষ্মে ১৩ জন খেলোয়াড়ের চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে ধারে খেলোয়াড়ও রয়েছেন। চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে ময়েসের বড় ভূমিকা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, “খেলোয়াড়রা দারুণ মনোভাব দেখাচ্ছে। তাদের কেউই হাল ছাড়েনি।
তাদের এমনটাই করা উচিত। মৌসুমের প্রথম ছয় মাস তারা খারাপ সময় পার করেছে, কিন্তু এখন জয়ের স্বাদ উপভোগ করছে।
সমর্থকরা তাদের উৎসাহিত করছে, এবং খেলোয়াড়রা ভালো খেলছে। একজন খেলোয়াড়ের জন্য এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।
আমার বিশ্বাস, তারা বুঝতে পারছে যে এটি একটি বড় পার্থক্য তৈরি করে। আমাদের আসন্ন সপ্তাহগুলোতে তাদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাতেও এটি বড় প্রভাব ফেলবে।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান