শিক্ষকের হাত ধরে: রিচার্ড বার্টনের জীবনের অজানা গল্প!

‘মিঃ বার্টন’ – ছবিতে শিক্ষক চরিত্রে টবি জোন্সের অনবদ্য অভিনয়

সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘মিঃ বার্টন’-এ প্রখ্যাত অভিনেতা রিচার্ড বার্টনের জীবনের প্রথম দিকের একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটিতে রিচার্ড বার্টন (যিনি আসল নামে রিচার্ড জেনকিন্স) চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারি লটেই।

১৯২০-এর দশকে ওয়েলসের এক শিল্পাঞ্চলে বেড়ে ওঠা তরুণ রিচার্ডের শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন শিক্ষক ফিলিপ বার্টন। টবি জোন্স এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন।

ছবিটির গল্পে দেখা যায়, ফিলিপ বার্টন নামের এক শিক্ষক তাঁর ছাত্র রিচার্ডের ভেতরের লুকানো প্রতিভা আবিষ্কার করেন। তিনি শুধু একজন শিক্ষক ছিলেন না, বরং রিচার্ডের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সবসময় পাশে ছিলেন।

কণ্ঠস্বরের মাধুর্য থেকে শুরু করে বাচনভঙ্গি—সবকিছুতেই তিনি রিচার্ডকে সাহায্য করেছেন। এক কথায়, রিচার্ডের শিল্পী হয়ে ওঠার পেছনে ফিলিপ বার্টনের অবদান অনস্বীকার্য।

ছবিটিতে টবি জোন্সের অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাঁর সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

ছবিতে একজন গে (gay) মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টবি জোন্স, যিনি সমাজের নানা প্রতিকূলতার শিকার হন। যদিও ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যেমন—এর ধীরগতির চিত্রনাট্য এবং কিছু দৃশ্যের দুর্বলতা, তবুও টবি জোন্সের অভিনয় ছবিটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।

তবে, ছবিতে তরুণ রিচার্ড বার্টনের চরিত্রে হ্যারি লটেইয়ের অভিনয় কিছুটা সমালোচিত হয়েছে। কারণ, অনেক সমালোচকের মতে, হ্যারিকে তরুণ বয়সের চরিত্রে মানানসই দেখাচ্ছিল না।

তা সত্ত্বেও, রিচার্ড বার্টনের চরিত্রে তাঁর কিছু মুহূর্ত দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।

ছবিটির প্রেক্ষাপট ১৯২০-এর দশকের ওয়েলসের শিল্পাঞ্চল। সে সময়ের শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রা এবং সামাজিক পরিস্থিতি ছবিতে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

একজন শিক্ষকের অনুপ্রেরণা কীভাবে একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে, ‘মিঃ বার্টন’ সেই গল্পই বলে। সব মিলিয়ে, ‘মিঃ বার্টন’ শিক্ষক ও ছাত্রের এক অসাধারণ সম্পর্কের চিত্র এবং একজন অভিনেতার শিল্পী হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *