মিস মার্ভেল-এর লেখকের নতুন বই: তরুণ প্রজন্মের জন্য নায়কের গল্প!

সমীরা আহমেদ-এর নতুন উপন্যাস ‘আরিয়া প্যাটেল’-এর জগৎ: বহুবিশ্বের গল্পে এক কিশোরীর আত্মপ্রকাশ।

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বহুবিশ্বের ধারণা নিয়ে গল্প লেখার প্রবণতা বাড়ছে, আর সেই ধারায় নতুন সংযোজন হিসেবে আসছেন লেখিকা সামিরা আহমেদ। তাঁর লেখা নতুন উপন্যাস ‘দ্য সিঙ্গুলার লাইফ অফ আরিয়া প্যাটেল’ (The Singular Life of Aria Patel) -এ এক ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে আসছেন তিনি, যেখানে বহুবিশ্বের আনাগোনা দেখা যাবে।

এই উপন্যাসে একজন কিশোরীর জীবন, প্রেম, শোক এবং নিজের পথ খুঁজে নেওয়ার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সামিরা আহমেদ এর আগে ‘মিস মার্ভেল’ গ্রাফিক নভেল সিরিজে কাজ করেছেন।

তাঁর নতুন এই উপন্যাসটি একটি ইয়ং অ্যাডাল্ট (YA) বা কিশোর-কিশোরীদের জন্য লেখা উপন্যাস, যেখানে মূল চরিত্র আরিয়া প্যাটেল নামের এক কিশোরী, যে কিনা বহুবিশ্বের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারে। গল্পের প্রেক্ষাপটে, আরিয়া যখন তার জীবনের স্থিতিশীলতা খুঁজে ফিরছিল, তখনই সে জানতে পারে, সে ভিন্ন জগতে প্রবেশ করতে সক্ষম।

উপন্যাসটি লেখার অনুপ্রেরণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখিকা জুডি ব্লুমের কিশোর উপন্যাস এবং রহস্য উপন্যাস ‘দ্য ওয়েস্টিং গেম’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, প্রতিটি উপন্যাসই, তা সে ইয়ং অ্যাডাল্ট হোক বা না হোক, একটি ‘আবির্ভাবের গল্প’ এবং একইসঙ্গে একটি রহস্য।

আরিয়া প্যাটেলের গল্পে একদিকে যেমন বহুবিশ্বের ধারণা রয়েছে, তেমনই একজন কিশোরীর ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক – বিচ্ছেদ, প্রিয়জনের মৃত্যু এবং নিজের ভবিষ্যৎ নির্বাচন করার মতো বিষয়গুলোও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।

লেখিকা মনে করেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য এই ধরনের গল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে তারা নিজেদের খুঁজে পায় এবং জীবনের কঠিন সময়েও কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়, তা জানতে পারে।

লেখিকা হিসেবে সামিরা আহমেদের লক্ষ্য শুধু গল্প লেখাই নয়, বরং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। তিনি মনে করেন, আজকের যুগে তরুণদের অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, আর তাদের সেই লড়াইয়ে সাহস জোগানো প্রয়োজন।

শুধু লেখার মাধ্যমেই নয়, সামিরা আহমেদ বই নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধেও সোচ্চার। তিনি মনে করেন, তরুণদের জন্য উপযুক্ত বই নির্বাচন করা এবং তাদের সেই বইগুলো পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।

তাঁর নিজের লেখা কয়েকটি উপন্যাসও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু তিনি তাঁর লেখায় তরুণদের কথা বলতে পিছপা হননি।

নিজের বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সামিরা আহমেদ জানান, তিনি যখন স্কুলে যেতেন, তখন তিনিই ছিলেন তাঁর স্কুলের প্রথম মুসলিম এবং দক্ষিণ এশীয় ছাত্রী।

তাঁর এই অভিজ্ঞতা তাঁকে অনেক সময় একাকী করে তুলেছিল। তাই তিনি চান, তাঁর বই পড়ে কোনো তরুণ যদি নিজেকে খুঁজে পায়, তাহলে সেটাই হবে তাঁর সবচেয়ে বড় পাওয়া।

‘আরিয়া প্যাটেল’-এর গল্পে, একজন তরুণীর বহুবিশ্বে ঘুরে বেড়ানো, প্রেম এবং শোকের সঙ্গে লড়াই করার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত তরুণ-তরুণীদের গল্প বলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

‘দ্য সিঙ্গুলার লাইফ অফ আরিয়া প্যাটেল’ বইটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *