নিখোঁজ কয়েদি: এরপর যা ঘটল, শুনলে শিউরে উঠবেন!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগারে এক আসামীর ‘হারিয়ে যাওয়া’র ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ক্লেটন কাউন্টি কারাগারে ১৯৮৪ সালে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত, জুলিয়ান ব্রুকস ডিলচ নামের এক কয়েদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এরপর কারাগারের নিরাপত্তা কর্মীরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যখন তার সন্ধান পাচ্ছিল না, তখন কার্যত তালাবন্ধ করে দেওয়া হয় পুরো কারাগার।

ঘটনাটি ঘটে গত এপ্রিল মাসের কোনো এক রাতে। কর্তৃপক্ষের হিসেবে ডিলচ নামের ওই কয়েদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এরপর শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। কারাগারের প্রতিটি সেল, প্রতিটি স্থান খুঁজে দেখেন কর্মীরা। জানা যায়, সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির জন্য তাকে রাজ্যের কারাগার থেকে ধার করে আনা হয়েছিল।

কয়েদীকে খুঁজে বের করতে প্রায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা লেগে যায়। পরে জানা যায়, আদালতের একটি কক্ষে তাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে রেখে আসা হয়েছিল।

ক্লেটন কাউন্টির শেরিফ লেভন অ্যালেন জানান, ওই কয়েদীকে আদালত কক্ষের একটি সেলে প্রায় সারারাত একাই থাকতে হয়। আদালত কক্ষে রাতে সাধারণত কেউ থাকে না, ফলে সেখানে তার নিরাপত্তা দেওয়ারও কেউ ছিল না।

শেরিফ আরও জানান, ঘটনার জন্য চারজন কর্মকর্তার গাফিলতি ছিল। তাদের মধ্যে দুইজন কারারক্ষী সার্জেন্ট এবং দুইজন আদালতের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি ছিলেন।

কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অভিযুক্ত সার্জেন্টদের পদাবনতি এবং ডেপুটিদের বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

তবে, অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনই শুনানির অধিকার ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে ডিলচকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। ২০১০ সালে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

কারাগারের এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *