“ম্যুরিয়েল’স ওয়েডিং” : একাকীত্ব থেকে বন্ধুত্বের পথে
নব্বইয়ের দশকে মুক্তি পাওয়া “ম্যুরিয়েল’স ওয়েডিং” সিনেমাটি এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে, কারণ এটি শুধু একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প নয়, বরং আত্ম-অনুসন্ধান ও বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
পি জে হোগান পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন টনি কোলেট, যিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়শৈলী দিয়ে মুরিয়েল নামের এক নারীর চরিত্রে প্রাণ দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার একটি ছোট শহর, যেখানে মুরিয়েলের জীবনটা একঘেয়ে, একাকীত্বে ভরা। সমাজের চোখে সে কিছুটা পিছিয়ে পড়া, সবসময় হাসির পাত্রী।
পরিবারের সদস্যরাও যেন একে অপরের থেকে আলাদা। এই কঠিন সময়ে, মুরিয়েলের জীবনে আলো হয়ে আসে এ বি বি এ (ABBA) গানের দল।
গানের সুরের মতোই, সেও স্বপ্ন দেখে, ভালো একটা জীবনের।
মুরিয়েলের স্বপ্ন সত্যি হয় যখন সে তার শহর ছেড়ে সিডনিতে যায়। সেখানে তার সাথে দেখা হয় স্বাধীনচেতা, বিদ্রোহী এক তরুণী, যার নাম রাউন্ডা।
তাদের বন্ধুত্ব মুরিয়েলের জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। সিনেমার গল্পে, মুরিয়েলের বিয়ে করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং তার পরিবারের জটিল সম্পর্কগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ছবিতে হাস্যরস এবং গভীর আবেগ দুটোই রয়েছে, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে।
ছবিতে এ বি বি এ-র গানগুলো মুরিয়েলের স্বপ্ন আর ভালোবাসার প্রতীক।
“ওয়াটারলু” গানের দৃশ্যে মুরিয়েল এবং রাউন্ডার অনবদ্য পরিবেশনা আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এই গান যেন তাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি, যেখানে তারা সব বাধা পেরিয়ে নিজেদের খুঁজে পায়।
“ম্যুরিয়েল’স ওয়েডিং” শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি আত্ম-অনুসন্ধানের এক যাত্রা।
ছবিতে একজন মানুষের ভেতরের শক্তি, বন্ধুত্বের গুরুত্ব এবং সমাজের প্রতিকূলতা জয় করার গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
টনি কোলেট-এর অনবদ্য অভিনয় ছবিটিকে দিয়েছে এক বিশেষ মাত্রা।
যদি আপনি এমন একটি সিনেমা দেখতে চান যা আপনাকে হাসাবে, কাঁদাবে এবং একই সাথে জীবনের নতুন পথে চলতে উৎসাহিত করবে, তাহলে “ম্যুরিয়েল’স ওয়েডিং” আপনার জন্য।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান