শিরোনাম: মাশরুম-কাণ্ড: অস্ট্রেলীয়ায় বিচ্ছেদপ্রাপ্ত স্বামীর সাক্ষ্য, অভিযুক্ত এরিন প্যাটাসন।
অস্ট্রেলিয়ার আদালতে ২০১৬ সালের ভয়াবহ মাশরুম-কাণ্ডের বিচার চলছে। অভিযুক্ত এরিন প্যাটাসনের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের কয়েকজনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় তার প্রাক্তন স্বামী সাইমন প্যাটাসনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আদালতে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এরিন প্যাটাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার প্রাক্তন স্বামীর বাবা-মা এবং এক আত্মীয়াকে বিষাক্ত মাশরুম মেশানো খাবার খাইয়ে হত্যা করেছেন এবং অপর একজনকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এরিন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।
সাইমন প্যাটাসন আদালতে জানান, ঘটনার কিছুদিন পর তিনি এরিনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “তাহলে কি ওটাই (মাশরুম) ব্যবহার করে তাদের বিষ খাইয়েছিলে?” এই ধরনের কোনো কথা তিনি এরিনকে বলেননি।
আদালতে সাইমনকে জেরা করার সময় তার আইনজীবী বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। এর মধ্যে ছিল, ঘটনার পরে এরিন ও সাইমনের মধ্যে হওয়া কিছু বার্তালাপ। এই বার্তালাপগুলোতে তাদের পারিবারিক বিষয়, বিশেষ করে শিশুদের ভরণপোষণ নিয়ে কথা ছিল।
আদালতে সাইমন জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে হাসপাতালে এরিন ও তিনি একা ছিলেন। তাদের সন্তানরাও তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এর মধ্যে শিশুদের মাশরুম মিশ্রিত খাবার দিয়ে একটি ‘টেস্ট’ করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
বিচার চলাকালীন সময়ে, এরিন এবং সাইমনের মধ্যে হওয়া আরও কিছু বার্তালাপ প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে একটি বার্তায় শিশুদের দেখাশোনা এবং তাদের পড়াশোনার খরচ দেওয়া নিয়ে মনোমালিন্যের কথা উল্লেখ ছিল। সাইমন জানান, এই বার্তাটি ছিল খুবই আপত্তিকর এবং তিনি চাননি তার মা এটি পড়ুন।
আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় সাইমন জানান, তার মা গ্যাইলের অসুস্থতার কারণে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাই তিনি ও তার বাবা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এরিনের কোনো বার্তা গ্যাইলের পড়ার প্রয়োজন নেই।
আদালতে জানানো হয়, এরিনের পাঠানো একটি বার্তায় শিশুদের ভরণপোষণের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। যেখানে তিনি আর্থিক বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। সাইমন জানান, ওই বার্তাটি সম্ভবত তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছিল।
এর আগে, এরিন তার বন্ধুদের জানিয়েছিলেন, তিনি ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু আদালতকে জানানো হয়েছে, এরিন আসলে কোনো ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন না।
এই মামলার শুনানিতে সাইমন প্যাটাসন সাত ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সাক্ষ্য দেন। বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।