যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালনায় ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে গঠিত একটি বিশেষ বিভাগ, ‘ডগ’-এ (DOGE) এলন মাস্কের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে এই বিভাগের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মাস্ক হয়তো শীঘ্রই তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবেন।
জানা গেছে, এই ‘ডগ’ বিভাগটি মূলত ২০২৬ সাল পর্যন্ত সক্রিয় থাকার কথা ছিল, কিন্তু এখন কর্মীদের অন্যান্য সরকারি বিভাগে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, খরচ কমানোর লক্ষ্যে মাস্ক ও ট্রাম্পের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি পর্যায়ে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়াও চলছে।
এই বিভাগের মাধ্যমে সরকারের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল, যেখানে এলন মাস্ককে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে মাস্কের সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় এবং টেসলার ব্যবসায়িক মন্দা এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
মাস্কের দেওয়া প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি অনুদান সত্ত্বেও, তার মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেননি।
এছাড়া, বছরের প্রথম তিন মাসে টেসলার বিক্রি ১৩ শতাংশ কমে যাওয়ায় মাস্কের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের এই বিদায় সম্ভবত ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যেখানে মাস্কের প্রভাব হয়তো কম থাকবে।
কারণ, মাস্ককে বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তিনি এক বছরে সর্বোচ্চ ১৩০ দিন কাজ করতে পারবেন।
যদিও ট্রাম্প মাস্কের কাজের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে আরও কিছুদিন পাশে রাখতে চেয়েছিলেন, তবে সবকিছু এখন সময়ের অপেক্ষা।
অন্যদিকে, মাস্ক নিজেও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে নির্বাচনের ফলাফলের পর তিনি এক টুইটে লেখেন, “আমি হেরে যাওয়ার আশা করেছিলাম, তবে কৌশলগত লাভের জন্য কিছু ত্যাগ করতে হয়।”
এই ঘটনার পর অনেকেই ধারণা করছেন, মাস্ক হয়তো তার নিজস্ব ব্যবসায় মনোযোগ দিতে পারেন।
বর্তমানে, ‘ডগ’-এর ভবিষ্যৎ এবং মাস্কের সরকারি কার্যক্রমের সমাপ্তি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস