নাইজেরীয় ঔপন্যাসিক ‘মাই সিস্টার, দ্য সিরিয়াল কিলার’ অবলম্বনে ভিন্ন ধারার ব্যালে।
ওয়িংকান ব্রেইথওয়েটের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মাই সিস্টার, দ্য সিরিয়াল কিলার’ এবার ব্যালে নৃত্যের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে আসছে। ‘ব্যালে ব্ল্যাক’ নামের একটি সংস্থা এই নাচের প্রযোজনাটি করেছে।
ব্রেইথওয়েট এই রূপান্তর দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন।
উপন্যাসটির মূল গল্প হলো দুই বোনের সম্পর্ক নিয়ে, যেখানে একজন সিরিয়াল কিলিংয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এই নাচের মাধ্যমে গল্পের প্রধান চরিত্রগুলো, যেমন- আয়োলা, কোরেদে এবং ডা. টেডকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
হেলগা প্যারিস-মোরালেস অভিনয় করেছেন আয়োলার চরিত্রে, ইসাবেলা কোরাসি কোরেদের ভূমিকায় এবং ইবনি থমাস ডা. টেডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
কাসা পাঞ্চো এই ব্যালেটির পরিচালক।
ব্যালে ব্ল্যাক এমন একটি সংস্থা, যারা সবসময় মঞ্চে বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশনার ওপর জোর দেয়। ব্রেইথওয়েটের এই উপন্যাসটি আফ্রিকার প্রেক্ষাপটে লেখা হওয়ায়, ব্যালেটির জন্য তাদের নির্বাচন করাটা ছিল খুবই স্বাভাবিক।
নাচের পোশাক এবং আবহসংগীতেও নাইজেরিয়ার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, ফেলা কুটির গান এবং টুটস অ্যান্ড দ্য মেটালসের সুর ব্যবহার করা হয়েছে।
লেখক জানিয়েছেন, যখন তিনি প্রথমবার এই পরিবেশনা দেখেন, তখন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।
আয়োলার চরিত্রটি দেখে তার মনে হয়েছে, যেন বহু বছর আগের কোনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো। কোরেদের চরিত্রে অভিনয় করা ইসাবেলার কাজেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
কোরেদের ভেতরের কষ্ট এবং দুর্বলতা, যা নাচের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, তা দর্শকদের মন জয় করেছে।
‘মাই সিস্টার, দ্য সিরিয়াল কিলার’ -এর ব্যালে পরিবেশনার পাশাপাশি ‘এ শ্যাডো ওয়ার্ক’ নামে শানেল দা সিলভার একটি নৃত্য পরিবেশনাও ছিল।
ব্রেইথওয়েটের মতে, এই ব্যালে দর্শকদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা, যা পরিবার, বন্ধু অথবা একাকী উপভোগ করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।