ফ্লোরিডার মায়াকা রাজ্যে: সমুদ্র থেকে কাছেই, অন্য এক জগৎ!

ফ্লোরিডার মায়াকা রিভার স্টেট পার্ক: সমুদ্র সৈকতের কাছেই প্রকৃতির এক অপূর্ব লীলাভূমি

ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্রের সারাসোটা অঞ্চলের কথা উঠলেই সাধারণত মানুষের চোখে ভাসে সমুদ্র সৈকত আর ঝলমলে বেলাভূমি। কিন্তু এই রাজ্যেরই উপকূল থেকে সামান্য দূরে, মাত্র ২০ মাইল ভেতরে প্রকৃতির এক ভিন্ন জগৎ লুকিয়ে আছে, যা একইসঙ্গে আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর।

এখানকার মায়াকা রিভার স্টেট পার্ক ফ্লোরিডার অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম একটি সংরক্ষিত এলাকা।

মায়াকা নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই পার্কটি বন্যপ্রাণীর এক বিশাল আশ্রয়স্থল। এখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ জলাভূমি আর নানান ধরনের ফুল-লতাগুল্মে আচ্ছাদিত তৃণভূমি।

পর্যটকেরা দেখতে পান জলাভূমির পাখি ‘লিম্পকিন’দের জলকেলির দৃশ্য, আবার বিশাল ওক গাছের ডালে বসে থাকা ঈগল ‘ওস্প্রে’র আনাগোনাও এখানে সবসময় লেগে থাকে।

যারা একটু অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাদের জন্য এখানে রয়েছে চমৎকার মাছ ধরার সুযোগ। এখানকার লেকে মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজন হয় একটি লাইসেন্স।

এছাড়া, নৌকায় করে এখানকার ‘আপার মায়াকা লেক’ -এর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো বা কায়াকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে, স্টেট রোড ৭২ এর দক্ষিণ দিকে কায়াকিং করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

আশ্চর্য হওয়ার বিষয় হলো, এই পার্কটি ফ্লোরিডার সবচেয়ে সুন্দর সমুদ্র সৈকত, সিesta কী থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে অবস্থিত।

জলাভূমি আর নৌবিহারের বাইরেও, এই পার্কটি পরিচিত তার আকর্ষণীয় হাইকিং ও বাইকিং ট্রেলের জন্য। এখানে সাইকেল ভাড়াও পাওয়া যায়।

প্রায় ৭ মাইল দীর্ঘ একটি পাকা রাস্তা ‘আপার মায়াকা লেক’-এর পাশ দিয়ে চলে গেছে, যা সাইকেল আরোহীদের জন্য খুবই উপযোগী। পাহাড়ী রাস্তায় বাইক চালানোরও সুযোগ রয়েছে এখানে।

যারা হেঁটে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান, তাদের জন্য রয়েছে প্রায় ৩৯ মাইল দীর্ঘ ‘মায়াকা ট্রেইল’, যা দিনের আলোয় হেঁটে শেষ করা সম্ভব।

এছাড়াও, এখানকার প্রকৃতি এবং বন্যজীবন সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে চাইলে গাইড ট্যুর, ট্রাম অথবা ওয়াইল্ডলাইফ ট্যুরের ব্যবস্থা রয়েছে।

পার্কটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খোলা থাকে। গ্রীষ্মকালে ফ্লোরিডার আবহাওয়া বেশ গরম ও আর্দ্র থাকে, তাই বসন্তের শুরু অথবা শেষের দিকে এখানে ভ্রমণ করা সবচেয়ে ভালো।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *