নারী ফুটবলে আনন্দের খোঁজে: নাদিয়া নাদিম এবং ক্লোয়ে কেলির নতুন পথ
ফুটবল খেলোয়াড়দের জীবনে মাঠের পারফরম্যান্সের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক শান্তি। সম্প্রতি, নারী ফুটবলে এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে খেলোয়াড়েরা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ক্লাব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই দুই তারকা হলেন নাদিয়া নাদিম এবং ক্লোয়ে কেলি।
ডেনমার্কের হয়ে খেলা আফগান বংশোদ্ভূত নাদিয়া নাদিম ইতালীয় ক্লাব এসি মিলান ছেড়ে সুইডিশ ক্লাব হামারবি-তে যোগ দিয়েছেন। মিলানে তাঁর কোচ ছিলেন ডাচ নাগরিক সুজান বাকের।
নাদিমের মতে, কোচের সঙ্গে তাঁর কাজের ধরন নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে নাদিম সরাসরি বলেন, “শরণার্থী শিবিরে প্রশিক্ষণের সময়ও এর চেয়ে ভালো পরিবেশ ছিল।”
উল্লেখ্য, নাদিমের ১০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তিনি পোর্তল্যান্ড থর্ন্স, ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের মতো বড় ক্লাবে খেলেছেন।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ক্লোয়ে কেলিও তাঁর ক্লাব পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।
এরপর তিনি আর্সেনালে যোগ দেন। কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই পরিস্থিতি শুধু আমার ক্যারিয়ারেই নয়, আমার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিশাল প্রভাব ফেলেছে।
আমি আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যায়ে রয়েছি এবং আমার কাছে আমার ক্যারিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আবার সুখী হতে চাই।”
দুজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তাঁরা তাঁদের খেলার জীবনের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। খেলোয়াড়দের এই ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
কারণ, খেলোয়াড় ভালো না থাকলে দলের পারফরম্যান্সেও তার প্রভাব পড়তে পারে। নাদিমের সুইডেনে এবং কেলির আর্সেনালে যোগ দেওয়া— উভয় ক্ষেত্রেই খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে এবং তাঁরা পুনরায় তাঁদের সেরাটা দিতে পারছেন।
ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা উইগম্যানও কেলির বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
ফুটবলে খেলোয়াড়দের ভালো থাকার বিষয়টি খুবই জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, খেলোয়াড়েরা ক্লাবের সিদ্ধান্তের কারণে হতাশ হয়ে পড়েন।
এই পরিস্থিতিতে দলবদলের সিদ্ধান্ত তাঁদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। নাদিয়া নাদিম এবং ক্লোয়ে কেলির ঘটনা তারই প্রমাণ।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান