ফিলিস্তিনের ‘নাকবা’, যা আজও চলছে: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
ফিলিস্তিনের জনগণের জীবনে ১৯৪৮ সালটি ছিল এক গভীর শোকের বছর। ‘নাকবা’ – এই শব্দটির অর্থ হলো ‘বিপর্যয়’। ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়ার এক বেদনাদায়ক ইতিহাস এটি, যা আজও তাদের জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে চলেছে।
প্রতি বছর এই দিনে, ফিলিস্তিনিরা তাদের হারানো ভূমি ও অধিকারের কথা স্মরণ করে, তাদের বেদনার্ত ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানায়।
নাকবার ইতিহাস শুধু একটি ঘটনার বিবরণ নয়, বরং একটি চলমান প্রক্রিয়া। ১৯৪৮ সালের সেই ঘটনার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা বিভিন্ন সময়ে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছে, উদ্বাস্তু জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছে। তাদের জীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুঃখ, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের এই কষ্ট-দুর্দশা যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, যা সময়ের সাথে সাথে নতুন রূপ নিচ্ছে।
ফিলিস্তিনের এই সংকট শুধু সেখানকার মানুষের একার নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলে আসছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও নিয়মিতভাবে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে খবর প্রকাশ করে, যা বিশ্ববাসীর কাছে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি তুলে ধরে।
ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের এই সংগ্রাম তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের জন্য। তারা চায় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, যেখানে তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তাদের এই আকাঙ্ক্ষা আজও পূরণ হয়নি, বরং বিভিন্ন সময়ে তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
নাকবার ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয়, কোনো মানুষের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলে, তার ফল কখনোই ভালো হয় না। শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সকলের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।
ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে হবে, যাতে সেখানকার মানুষগুলো তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় এবং একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়তে পারে।
এই নিবন্ধটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত নাকবা স্মরণের খবর অবলম্বনে লেখা হয়েছে।