প্যারিসে জীবন: নাতালি পোর্টম্যানের গোপন ইচ্ছেরা!

প্যারিসের জীবনযাত্রা কেন লস অ্যাঞ্জেলেসের চেয়ে বেশি পছন্দ করেন অভিনেত্রী নাতালি পোর্টম্যান? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বর্তমানে তার দুই সন্তান, ১৩ বছর বয়সী অ্যালেফ এবং ৮ বছর বয়সী আমালিয়াকে নিয়ে প্যারিসে বসবাস করছেন। একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্যারিসের মানুষেরা অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং এখানকার সংস্কৃতিও বেশ আলাদা।

পোর্টম্যান বলেন, “এখানে আমি মনে করি, সবাই আসলে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। কিভাবে তাদের সঙ্গে মিশতে হয়, সেটা জানাটা জরুরি, যাতে আমরাই অভদ্রের মতো আচরণ না করি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমেরিকায় ফিরে গেলে আমার মনে হয়, ‘ওহ!’ আমি দোকানে গিয়ে সবার সঙ্গে ‘হাই’ বলি না? এটা বেশ অদ্ভুত লাগে।”

প্যারিসের সংস্কৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা হয়তো মনে করি পশ্চিমা সংস্কৃতিগুলো একই রকম, কারণ পপ কালচার বা জনপ্রিয় সংস্কৃতির প্রভাব সবখানে দেখা যায়। কিন্তু এটা সত্যি নয়। এখানকার সংস্কৃতি গভীর এবং উপরিভাগে ভিন্নতা রয়েছে।”

পোর্টম্যানের মতে, প্যারিসের মানুষেরা তার ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করে। তিনি বলেন, “এখানে তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে বেশ গুরুত্ব দেয়। আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রশংসা হলো, ‘elle est très discrète’ (অর্থাৎ, তিনি খুবই মিশুক)।”

অভিনেত্রী জানান, তিনি প্রাক্তন স্বামী বেঞ্জামিন মিলেpied-এর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্তানদের একসঙ্গে মানুষ করছেন। প্যারিসে থাকার কারণে তিনি সন্তানদের মধ্যে ভদ্রতা ও ভালোবাসার একটি সুন্দর দিক দেখতে পান।

পোর্টম্যান বলেন, “আমার বাড়িতে আসা সব বাচ্চারা ‘বন্জোর মাদাম’ বলে আমাকে ‘বিজে’ (গাল ছুঁয়ে চুমু) করে। যাওয়ার আগে তারা ‘আপনাকে ধন্যবাদ’ জানায় এবং আমি কাছে না থাকলে, তারা খুঁজে এসেও ধন্যবাদ জানায়।”

প্যারিসের জীবনযাত্রার নান্দনিকতা উপভোগ করেন জানিয়ে পোর্টম্যান বলেন, এখানকার আবহাওয়া “ঠান্ডা এবং ধূসর” হলেও, সেখানে সবসময় অসাধারণ প্রদর্শনী, কনসার্ট অথবা আকর্ষণীয় ডিনার পার্টির মতো বিষয়গুলো চলমান থাকে। এছাড়া, এখানকার ঘন ঘন অবকাশ যাপনও খুব উপভোগ করেন তিনি।

২০২৩ সালের জুলাই মাসে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর পোর্টম্যান বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। প্রাক্তন এই দম্পতি তাদের সন্তানদের ভালো ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে অভিভাবকত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মার্চ মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, পোর্টম্যান এবং বেঞ্জামিনের প্রধান লক্ষ্য ছিল সন্তানদের জীবন স্বাভাবিক রাখা। তারা দুজনেই তাদের সন্তানদের ভালোবাসেন এবং সেরা অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের কাছে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *