আতঙ্কের স্মৃতি: ডেটন শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে ন্যাটোর শান্তিরক্ষার বার্তা!

**বসনিয়া যুদ্ধ অবসানের স্মরণে: ডেটন শান্তি চুক্তির গুরুত্ব এবং ন্যাটো’র ভূমিকা**

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ডেটন শহরে অনুষ্ঠিত হলো ডেটন শান্তি চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা যোগ দেন।

তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। বক্তারা সবাই শান্তি রক্ষায় ন্যাটো’র অপরিহার্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

১৯৯৫ সালে ডেটন শহরে এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা বসনিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, এই চুক্তির ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল।

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলমেদিন কোনাকোভিচ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজও আমি তাঁদের সঙ্গেই আমার দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করছি, যাঁদের বিরুদ্ধে একসময় যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধের চেয়ে শান্তি অনেক ভালো।“

অনুষ্ঠানে ন্যাটো’র প্রতি সমর্থন জানানো হয় এবং ইউক্রেনকে সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

বক্তারা অভিমত দেন যে, ইউক্রেনের বিজয় ইউরোপের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি এবং চীন সহ অন্যান্য দেশের আগ্রাসন রোধ করতে এটি সহায়ক হবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ন্যাটো’র সদস্যপদ ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। বক্তারা ন্যাটোকে শান্তির জন্য একটি অপরিহার্য জোট হিসেবে বর্ণনা করেন।

তাঁদের মতে, ন্যাটো হলো শান্তির সেরা রক্ষাকবচ।

ন্যাটো, যা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট নামেও পরিচিত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে গঠিত হয়েছিল।

এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোকে রক্ষা করা। বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা ৩২।

অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার কায়া বেইলি হাচিসন, অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল ওয়েসলি ক্লার্ক এবং আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ডেটন শান্তি চুক্তির এই স্মরণসভাটি আগামী সোমবার একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হবে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *