বিশ্বজুড়ে বাস্কেটবলপ্রেমীদের জন্য এখন উত্তেজনার সময়। ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ)-এর প্লে-অফের সেমিফাইনাল বা কনফারেন্স ফাইনাল শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে শীর্ষস্থানীয় দলগুলো শিরোপার জন্য লড়বে।
এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, খেলার মাঠের কিছু অপ্রত্যাশিত দৃশ্য এবং খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অর্জনের দিকে নজর রাখা জরুরি।
এবারের প্লে-অফে কিছু অপ্রত্যাশিত দল সেমিফাইনালে উঠেছে। ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে এক নম্বর বাছাই হিসেবে ওকলাহোমা সিটি থান্ডার এবং ছয় নম্বর বাছাই মিনেসোটা টিম্বারওয়লভস মুখোমুখি হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইস্টার্ন কনফারেন্সে তৃতীয় বাছাই নিউ ইয়র্ক নিক্স এবং চতুর্থ বাছাই ইন্ডিয়ানা প্যাসার্স-এর লড়াই দেখা যাবে। বাস্কেটবলের ইতিহাসে এমনটা খুব একটা দেখা যায় না, যখন এক ও ছয় নম্বর বাছাই অথবা তিন ও চার নম্বর বাছাই দল সেমিফাইনালে এসে পড়ে।
ইতিহাস বলছে, যখন ৩ ও ৪ নম্বর বাছাই দল মুখোমুখি হয়েছে, তখন ৩ নম্বর বাছাই দলই জয়ী হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালে সান আন্তোনিও স্পার্স, ২০১১ সালে ডালাস ম্যাভেরিকস এবং ২০২২ সালে গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স এই কাজটি করেছে।
এছাড়া, এক নম্বর বাছাই দলের সঙ্গে ছয় নম্বর বাছাই দলের লড়াইয়ের ফল মিশ্রিত দেখা যায়।
এই প্লে-অফে কিছু খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ওকলাহোমা সিটির শাই গিলজিয়াস-আলেকজান্ডারের এই মৌসুমে ৩,০০০ পয়েন্ট সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি যদি এই মাইলফলক ছুঁতে পারেন, তাহলে গত ২০ বছরে এই কৃতিত্ব অর্জন করা পঞ্চম খেলোয়াড় হবেন। অন্যদিকে, মিনেসোটা টিম্বারওলভসের তারকা খেলোয়াড় অ্যান্টনি এডওয়ার্ডসের ৪০০টি থ্রি-পয়েন্টার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ানা প্যাসার্সের টাইরিস হ্যালিবার্টন ৮০০টি অ্যাসিস্ট করার খুব কাছে রয়েছেন। নিউ ইয়র্ক নিক্সের জা লেন ব্রানসন যদি আরো ৩৩টি অ্যাসিস্ট করেন, তবে তিনি এক মৌসুমে ২,০০০ পয়েন্ট এবং ৬০০ অ্যাসিস্ট করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় হবেন।
যদি ওকলাহোমা সিটি থান্ডার চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে তারা এই মৌসুমে ৮৪টি জয় নিয়ে শেষ করবে, যা তাদের কিংবদন্তী দলের সারিতে স্থান দেবে। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে শিকাগো বুলস (৮৭-১৩) এবং ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে (৮৪-১৭) এর মতো দলগুলো এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
কোচিংয়ের দিক থেকেও কিছু মাইলফলক অপেক্ষা করছে। ইন্ডিয়ানা প্যাসার্সের কোচ রিক কার্লাইল প্লে-অফে ৮০টি জয়ের খুব কাছে রয়েছেন।
অন্যদিকে, নিউ ইয়র্ক নিক্সের কোচ টম থিবোডোর জন্য এই প্লে-অফের তৃতীয় ম্যাচটি হবে তার ক্যারিয়ারের ১০০তম প্লে-অফ ম্যাচ।
এই বছর প্লে-অফে বিভাগীয় খেতাব বিজয়ী দলগুলোর বাইরেও দল ফাইনালে যেতে পারে, যা সাধারণত দেখা যায় না।
খেলাপ্রেমীদের জন্য এই প্লে-অফ নিঃসন্দেহে উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে। প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস