মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ক্রীড়াঙ্গনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ন্যাশনাল কলেজিয়েট অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন (এনসিএএ), খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া বিভাগের কর্মীদের পেশাদার খেলাধুলায় বাজি ধরার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে।
এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কারণ হিসেবে জানা গেছে, সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা এবং বাজি সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনের ক্ষেত্রে অখণ্ডতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা।
এনসিএএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজি সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ৭৫ শতাংশ সমর্থন পায়নি।
এই কারণে, সদস্য কলেজগুলোর প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাজি সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ১লা নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে এখন তা পিছিয়ে ২২শে নভেম্বর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে খেলোয়াড়দের বাজি ধরা নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে। বেশ কয়েকজন বাস্কেটবল খেলোয়াড়কে তাদের নিজেদের খেলায় বাজি ধরার দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, বাজি ধরার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন এনবিএ (NBA) খেলোয়াড় এবং কোচের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে, খেলোয়াড়দের বাজি ধরার অনুমতি দেওয়ার আগে, এর সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো ভালোভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এনসিএএ সভাপতি চার্লি বেকার (Charlie Baker) জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের কল্যাণ এবং খেলার অখণ্ডতা রক্ষার ক্ষেত্রে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজি খেলার অনুমতি দেওয়ার ফলে কলেজ পর্যায়ের খেলার উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজি খেলার অনুমতি দেওয়ার ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি খেলাধুলার জগতে দুর্নীতি ও প্রতারণা বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
তাই, এনসিএএ চাইছে, এমন একটি নিয়ম তৈরি করতে যা খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ তৈরি করবে, আবার খেলার সম্মানকেও অক্ষুণ্ণ রাখবে।
এই মুহূর্তে, কলেজ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের নিজেদের খেলায় বাজি ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এনসিএএ খেলোয়াড়দের বাজি সংক্রান্ত কোনো তথ্য আদান-প্রদান করতেও নিষেধ করে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন