নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির দিকে ঝুঁকছেন। উন্নত বিশ্বে এই ধরনের অস্ত্রোপচার বেশ পরিচিত হলেও, বর্তমানে বাংলাদেশেও এর চাহিদা বাড়ছে।
সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ৪০ বছর বয়সে ঘাড়ের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এক নারীর অস্ত্রোপচারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, জোয়ানি নামের এক নারী, যিনি পেশায় একজন সার্জন টেকনিশিয়ান, নিজের ৪০তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে ঘাড়ের “ডিপ নেক লিফট” করান। এই অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের “নায়ক প্লাস্টিক সার্জারি”-র স্বনামধন্য সার্জন ড. মাইক নায়াক।
জোয়ানির ঘাড়ের অতিরিক্ত মেদ অপসারণের পাশাপাশি “বুক্কাল ফ্যাট রিডাকশন”-ও করা হয়। এই অস্ত্রোপচারে একটিমাত্র ছেদ ব্যবহার করা হয়েছিল, যা চিবুকের নিচে লুকানো ছিল।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি কাজে যোগ দেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের “ডিপ নেক লিফট” অস্ত্রোপচার ঘাড়ের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং চেহারায় বয়সের ছাপ কমাতে সহায়ক।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঘাড়ের গভীরে থাকা পেশি এবং অন্যান্য কাঠামোকে নতুন রূপ দেওয়া হয়, যা ত্বককে টানটান করে এবং একটি সুস্পষ্ট চোয়ালের রেখা তৈরি করে।
এই অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক খরচ আনুমানিক ৭০,০০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকার সমান। যেহেতু এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া, তাই এটি সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য সহজলভ্য নয়।
অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অস্ত্রোপচারের পর জোয়ানির চেহারা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। এমনকি, অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি ব্রাজিলে বেশ পরিচিতি লাভ করেন।
অস্ত্রোপচারের এক বছর পর তিনি প্রায় ১৮ কেজি ওজন কমান, যা তার ঘাড়ের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের অস্ত্রোপচার সাধারণত যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, তাদের জন্য বেশি উপযোগী। কারণ, এই বয়সের পর ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারাতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ ফল পেতে অন্য পদ্ধতিরও প্রয়োজন হতে পারে।
তবে, বাংলাদেশে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের চাহিদা বাড়ছে কিনা, অথবা এর সম্ভাবনা কেমন, সে বিষয়ে কোনো বিশেষজ্ঞের বক্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
সৌন্দর্য সচেতনতা এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে, ভবিষ্যতে এই ধরনের অস্ত্রোপচারের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: People