প্রতিবেশী সঙ্গে পার্কিং বিতর্কের জেরে এক নারীর প্রতিশোধের পরিকল্পনা, সমালোচনার ঝড়।
যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে সম্প্রতি এক নারীর প্রতিবেশী প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ওই নারী তার প্রতিবেশীর গাড়ির পথ আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
মূলত, গাড়ি পার্কিং নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারীর এক বন্ধু তাদের বাড়ির সামনে, তাদের ব্যবহৃত একটি ড্রাইভওয়েতে গাড়ি পার্ক করেন। এই ড্রাইভওয়েটি তারা তিনজন প্রতিবেশী একসঙ্গে ব্যবহার করেন।
গাড়ি পার্ক করার কিছুক্ষণ পরই তৃতীয় বাড়ির প্রতিবেশী এসে গাড়ির হর্ন বাজানো শুরু করেন। এমনকি, তারা গাড়িটি সরানোর জন্য কোনো অনুরোধও করেননি।
ওই নারী জানান, তার বন্ধুকে যখন গাড়ি সরাতে বলা হলো, তখনও প্রতিবেশী কোনো ধন্যবাদ জানাননি। এরপর যখন বন্ধুটি আবার ড্রাইভওয়েতে গাড়ি পার্ক করেন, তখন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
প্রতিবেশী বারবার হর্ন বাজাচ্ছিলেন, যেন তিনি কোনো বার্তা দিতে চাইছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ওই নারী সিদ্ধান্ত নেন, আগামীকাল তার বাড়িতে কিছু পাথর সরবরাহ করা হবে এবং সরবরাহকারীকে তিনি ড্রাইভওয়েতে গাড়ি পার্ক করতে বলবেন, যাতে প্রতিবেশীর গাড়ি বের হতে সমস্যা হয়।
এর আগে, সাধারণত তিনি প্রতিবেশীকে তার গাড়ি সরিয়ে নিতে বলতেন, যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
কিন্তু প্রতিবেশীর এমন আচরণের কারণে তিনি এবার আর কোনো সতর্কবার্তা দিতে রাজি নন।
বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি অনলাইন ফোরামে প্রশ্ন করেন, তার এই কাজটি করা উচিত কিনা। সেখানে অধিকাংশ ব্যবহারকারীই তার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
তাদের মতে, এমন আচরণ ‘ছেলেমানুষি’ এবং ‘অযৌক্তিক’। অনেকে বলেছেন, প্রতিবেশীর যখন খুশি, তার গাড়ি বের করার অধিকার আছে এবং এমনভাবে রাস্তা আটকে দেওয়াটা কোনো সমাধান নয়।
আলোচনায় আরও অনেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, “আমি মনে করি, আপনি খুবই ছেলেমানুষি করছেন। আপনার প্রতিবেশীর যখন খুশি, তখন আসা-যাওয়া করার অধিকার আছে।
আরেকজন লিখেছেন, “ড্রাইভওয়েতে বারবার গাড়ি আটকে রাখাটা ঠিক নয়। আপনিই বরং নিজের গাড়ি সরিয়ে নিন।
এই ঘটনা প্রতিবেশী সম্পর্কের জটিলতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে। সামান্য বিষয় থেকেও যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
তথ্য সূত্র: পিপলস