গাড়ির পার্কিং নিয়ে প্রতিবেশীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নারী!

শিরোনাম: প্রতিবেশীর গাড়ির স্থান চেয়ে বারবার অনুরোধে অতিষ্ঠ, প্রতিকার খুঁজছেন এক নারী

ঢাকা শহরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গাড়ির পার্কিং নিয়ে প্রায়ই বিবাদ দেখা যায়। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনায় নিজের প্রতিবেশীর আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিকার চেয়েছেন এক নারী।

অনলাইনে একটি আলোচনা সভায় তিনি তার সমস্যার কথা জানানোর পর ব্যাপক সমর্থন জুটিয়েছেন।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, তার প্রতিবেশী, যার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি মেয়ে রয়েছে, প্রায়ই তার বাড়ির সামনের পার্কিং স্থানটি ছেড়ে দিতে বলেন। প্রথমে, জরুরি অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি রাজি হলেও, পরবর্তীতে একই অনুরোধ আসতে থাকে।

এমনকি গভীর রাতেও তার গাড়ির স্থানটি চেয়ে যাওয়া হয়।

ওই নারী জানান, তাদের বাড়িটি একটি স্কুলের কাছে অবস্থিত, যার ফলে রাস্তাটিতে সব সময় গাড়ির চাপ থাকে।

তিনি বলেন, “শুরুতে, প্রতিবেশীর অনুরোধে আমি জায়গা ছেড়ে দিই, ভেবেছিলাম হয়তো কোনো জরুরি পরিস্থিতি। কিন্তু এরপর, যখনই তিনি ওই স্থানে গাড়ি পার্ক করতে চান, তখনই আমাকে ফোন করেন অথবা সরাসরি এসে আমার গাড়ির স্থানটি ছাড়তে বলেন।”

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নারীটি এখন নিজেকে ‘চাপের মধ্যে’ অনুভব করছেন।

তিনি জানান, একবার তো মধ্যরাতে তার প্রতিবেশী এসে অনুরোধ করেন, যাতে সকালে তার মেয়ের সুবিধা হয়। এমনকি ওই রাতে তিনি চাবি দিতেও রাজি হয়েছিলেন, যাতে তার প্রতিবেশী অন্য কাউকে দিয়ে গাড়িটি সরাতে পারেন।

সমস্যার সমাধানে তিনি প্রথমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা পার্কিং স্থান তৈরির আবেদন করার কথা বলেছিলেন।

কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায়, তিনি এখন নিজের বাড়ির দরজায় একটি নোটিশ লাগানোর কথা ভাবছেন, যেখানে প্রতিবেশীকে এই ধরনের অনুরোধ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হবে।

বিষয়টি নিয়ে তিনি অনলাইনে একটি আলোচনা সভায় পরামর্শ চাইলে, সেখানে উপস্থিত প্রায় সকল সদস্যই তার প্রতি সমর্থন জানান।

আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া একজন মন্তব্যকারী জানান, “প্রতিবেশী সম্ভবত আপনাকে দুর্বল ভাবছেন। অন্য প্রতিবেশীদের কাছে তো তিনি এই ধরনের অনুরোধ করেন না, কারণ তারা হয়তো তাকে ফিরিয়ে দেবেন।”

আরেকজন মন্তব্য করেন, “আপনি ফোন ধরা বন্ধ করুন। গভীর রাতে দরজা খোলারও দরকার নেই। আলোচনা সীমিত করুন এবং প্রয়োজনে কঠোর হন। কয়েক মিনিটের অস্বস্তি, নাকি সারা জীবনের শান্তি – বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আপনার।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *