নারী লেখকদের স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের ‘উইমেন’স প্রাইজ ফর নন-ফিকশন’ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
চলতি বছর এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া লেখকদের তালিকায় রয়েছেন খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী নেনিহ চেরি এবং ব্রিটিশ চিকিৎসক র্যাচেল ক্লার্কের মতো ব্যক্তিত্ব।
এই পুরস্কারের মূল লক্ষ্য হলো, নন-ফিকশন প্রকাশনায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা।
মোট ছয়জন লেখকের বই এবারের পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে রয়েছে ৩০ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪১ লাখ টাকার সমান।
এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নেনিহ চেরির আত্মজীবনী ‘এ থাউজেন্ড থ্রেডস’ এবং র্যাচেল ক্লার্কের লেখা ‘দ্য স্টোরি অফ আ হার্ট’।
এছাড়াও প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক দুটি বইও রয়েছে এই তালিকায়।
এগুলো হলো, ব্রিটিশ লেখক ক্লো ডালটনের ‘রাইজিং হেয়ার’ এবং ইউকে-র জীববিজ্ঞানী হেলেন স্কেলসের লেখা ‘হোয়াট দ্য ওয়াইল্ড সি ক্যান বি’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন ফরাসি প্রতিরোধ যোদ্ধার জীবন নিয়ে লেখা ক্লার মুলে’র ‘এজেন্ট জো’ এবং চীনের তরুণীদের জীবন নিয়ে চায়না-ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা ইউয়ান ইয়াংয়ের লেখা ‘প্রাইভেট রেভোলিউশনস’ও রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান, ব্রিটিশ সাংবাদিক কবিতা পুরী, এই তালিকাটিকে ‘বৈচিত্র্যপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “এই তালিকা এমন সব লেখার সমাহার, যা প্রকৃতির প্রতি মানুষের গভীর সম্পর্ককে তুলে ধরে, নারীদের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করা গল্প উপস্থাপন করে এবং জটিল বিষয়গুলোকে গভীরতা ও মৌলিকত্বের সঙ্গে আলোকিত করে।”
‘উইমেন’স প্রাইজ ফর নন-ফিকশন’ পুরস্কারটি মূলত নারীদের জন্য দেওয়া হয়।
এটি গত বছর শুরু হয়েছে এবং যেকোনো দেশের নারী লেখকেরা এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারেন।
ইউকে-র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি নন-ফিকশন বই কেনেন এবং পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকেন।
এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মূলত এই পুরস্কারের সূচনা।
২০১৯ সালে, নিলসন বুক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে নারীরা মোট বইয়ের ৫৯ শতাংশ কিনলেও, প্রাপ্তবয়স্কদের নন-ফিকশন বইয়ের অর্ধেকের বেশি কিনেছিলেন পুরুষরা।
গত বছর এই পুরস্কারের প্রথম জয়ী হয়েছিলেন কানাডীয় লেখক ও সমাজকর্মী নাওমি ক্লেইন, তাঁর ‘ডোপেলগাঙ্গার: আ ট্রিপ ইনটু দ্য মিরর ওয়ার্ল্ড’ বইটির জন্য।
আগামী ১২ই জুন লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এই পুরস্কার নিঃসন্দেহে বিশ্বজুড়ে নারী লেখকদের উৎসাহিত করবে এবং তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দেবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস