আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা সত্ত্বেও এই সপ্তাহে হাঙ্গেরি সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রবিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের আমন্ত্রণে তিনি এই সফরে যাচ্ছেন।
আগামী বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত নেতানিয়াহুর এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী এর আগে আইসিসির এই পরোয়ানাকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে হাঙ্গেরি আদালতের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে না।
জানা গেছে, নেতানিয়াহু তার এই সফরকালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাবিষয়ক পরিকল্পনার সমর্থনে হাঙ্গেরির সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন।
এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করে গাজাকে একটি ভূমধ্যসাগরীয় রিসোর্টে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে।
দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, নেতানিয়াহু গাজার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্ভব সকল দেশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।
যদিও হাঙ্গেরি এখনো পর্যন্ত ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে নেতানিয়াহুর সফর ইঙ্গিত দেয় যে তিনি বিতর্কিত এই পরিকল্পনার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হিসেবে হাঙ্গেরির আইসিসির রায় মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে, হাঙ্গেরি সরকারের পক্ষ থেকে সফরটি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আইসিসি-র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এটি হবে নেতানিয়াহুর দ্বিতীয় বিদেশ সফর।
এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটন সফর করেন।
ইসরায়েল তার নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
একইসাথে, হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরি-র বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা