যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় একজন পশুচিকিৎসক, ডা. শন ফ্রেনার, লেক মিডের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছেন। জানা গেছে, তার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা, পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পাশাপাশি তার শরীরে পেন্টোবারবিটাল নামক একটি ঔষধের উপস্থিতি পাওয়া গেছে যা সাধারণত পশুদের ঘুম পাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।
ডা. ফ্রেনারের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছিল, যেখানে তাকে একটি ঘোড়াকে লাথি মারতে দেখা যায়। এই ঘটনার পরেই তার বিরুদ্ধে পশু নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৫৬ বছর বয়সী ডা. ফ্রেনারের মৃতদেহ ১৮ই এপ্রিল লেক মিডের কাছাকাছি পাওয়া যায়। এর আগে, তিনি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তার গাড়ি, ওয়ালেট এবং মোবাইল ফোন লেকের কাছেই পাওয়া গিয়েছিল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ডা. ফ্রেনার একটি ঘোড়াকে লাথি মারছেন। ঘটনার দিন তিনি লাস ভেগাসের পশ্চিমে প্রায় ৬০ মাইল দূরে অবস্থিত একটি স্থানে ঘোড়াগুলোকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘোড়াটিকে লাথি মারার পরে তার ঘাড়ের চারপাশে ঘোড়াটি তিনবার পেঁচিয়ে যায়। ঘোড়ার মালিকানা স্বত্বাধিকারী শওনা গঞ্জালেজ জানান, ঘটনার পরে ঘোড়ার মাথায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি ডা. ফ্রেনারের বিরুদ্ধে পশু নির্যাতনের অভিযোগ আনেন এবং এর পরেই নাই কাউন্টি শেরিফ অফিস একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করে।
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ডা. ফ্রেনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, “ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোড়াটিকে লাথি মারিনি। আমি চেয়েছিলাম ঘোড়াটিকে ভালো জায়গায় নিয়ে আসতে, যাতে সে শ্বাস নিতে পারে এবং উঠে দাঁড়াতে পারে। এরপর আমি তাকে চেতনানাশক দিতে পারতাম।”
শওনা গঞ্জালেজ ডা. ফ্রেনারের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তবে তিনি তার ঘোড়ার জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি এই ঘটনার জন্য দুঃখিত, তবে আমি আমার ঘোড়ার হয়ে কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতেও বলবো।”
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ডা. ফ্রেনারের মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তার শরীরে পেন্টোবারবিটালের উপস্থিতি ছিল, যা সম্ভবত আত্মহত্যার কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
এই ঘটনা পশু অধিকার এবং সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার প্রভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
তথ্য সূত্র: