গাড়ি ঋণ সুদ: এই ট্যাক্স সুবিধার যোগ্য কারা?

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন গাড়ির ঋণ সুদ থেকে কর ছাড়: নিয়মকানুন ও প্রভাব

যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ নিলে সুদের উপর কর ছাড়ের নতুন একটি বিধান চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ২০২৫ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

তবে এই সুবিধা সবার জন্য নয়, কিছু বিশেষ শর্ত রয়েছে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই নতুন কর ছাড় সম্পর্কে বিস্তারিত:

নতুন এই সুবিধা পেতে হলে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।

এই ছাড় শুধুমাত্র নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে নয়।

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা গাড়ি যেমন- কার, মোটরসাইকেল, মিনিভ্যান, ভ্যান, এসইউভি এবং পিকআপ ট্রাকের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

তবে, গাড়ির ‘চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি’ যুক্তরাষ্ট্রে সম্পন্ন হতে হবে।

অর্থাৎ, গাড়িটি তৈরি হয়েছে আমেরিকায়।

এই সুবিধা পেতে হলে ঋণের কিছু শর্ত রয়েছে।

বন্ধু বা পরিবারের কাছ থেকে ঋণ নিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের সুদ এর অন্তর্ভুক্ত।

এছাড়াও, গাড়ির সুদ বাবদ বছরে সর্বোচ্চ ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যাবে।

তবে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের বেশি হলে এই ছাড়ের সুবিধা কমে আসবে।

যাদের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ডলারের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের পরিমাণ কমতে থাকবে।

উদাহরণস্বরূপ, বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে এই সীমা ২ লক্ষ ডলার।

যাদের আয় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ডলারের বেশি (যুগলভাবে আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ডলার), তারা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন না।

এই ছাড়ের ফলে করদাতাদের কত টাকা সাশ্রয় হবে, তা নির্ভর করে তাদের করের হার এবং ঋণের সুদের পরিমাণের ওপর।

যদি কারও ট্যাক্স ব্র্যাকেট ২২% হয়, তাহলে তিনি প্রতি ১০০ ডলার সুদ বাবদ ২২ ডলার পর্যন্ত ট্যাক্স কমাতে পারবেন।

এই ট্যাক্স ছাড়ের ফলে গাড়ির বাজারে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই ছাড়ের কারণে গাড়ির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, এই কর ছাড়ের নিয়মাবলী শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য।

বাংলাদেশের করদাতাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

বাংলাদেশের কর ব্যবস্থা এবং নিয়মকানুন সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সতর্কতা: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।

এটি কোনো প্রকার আর্থিক বা আইনি পরামর্শ নয়।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *