মহাকাশে এক নতুন রহস্য! আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এক অত্যাশ্চর্য বস্তুর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী এই নতুন মহাজাগতিক বস্তুটি আবিষ্কার করেছেন, যা আমাদের ছায়াপথের গভীরে অবস্থিত।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বস্তুটির আচরণ সত্যিই অদ্ভুত—এটি প্রতি ৪৪ মিনিট পর পর নিয়মিতভাবে এক্স-রশ্মি এবং বেতার তরঙ্গ নির্গত করে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক, জিতেন আন্ডি ওয়াং, জানিয়েছেন, এটি সম্ভবত কোনো মৃত নক্ষত্র, যেমন নিউট্রন তারা অথবা শ্বেত বামন (white dwarf) হতে পারে। তবে, এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরণের কোনো মহাজাগতিক বস্তুও হতে পারে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
প্রায় ১৫,০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই বস্তুটি আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি ঘন নক্ষত্র, গ্যাস ও ধূলিকণার অঞ্চলে লুকিয়ে আছে। নাসা’র চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি (Chandra X-ray Observatory) গত বছর ঘটনাক্রমে এটির সন্ধান পায়।
একটি সুপারনোভা অবশেষ (supernova remnant) পর্যবেক্ষণের সময় বিজ্ঞানীরা এর এক্স-রশ্মি নিঃসরণ লক্ষ্য করেন। ওয়াং আরও বলেন, “এত অল্প সময়ের মধ্যে বেতার সংকেত নির্গত করার ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
গবেষকরা বলছেন, এই বস্তুটি ‘ASKAP J1832−091’ নামে পরিচিত এবং এর সক্রিয়তা প্রায় এক মাস স্থায়ী ছিল। এই সময়কালের বাইরে, এটি কোনো উল্লেখযোগ্য এক্স-রশ্মি নির্গত করেনি।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই ধরনের আরও অনেক বস্তু মহাকাশে থাকতে পারে।
এই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা হয়তো মহাকাশের নতুন কোনো দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবেন, অথবা পরিচিত কোনো বস্তুর এমন আচরণ আগে কখনো দেখেননি।
এই বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি ১৯৯৯ সাল থেকে পৃথিবীর কয়েক হাজার কিলোমিটার উপরে থেকে মহাকাশের অতি উষ্ণ এবং উচ্চ-শক্তির বস্তুগুলো পর্যবেক্ষণ করছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস