মা ও ছেলের মৃত্যু: নিউ হ্যাম্পশায়ারে শোকের মাতম!

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে মা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু, খুনের সন্দেহে তদন্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্থানীয় সময় শুক্রবার, সম্ভবত ৯ই মে, পেমব্রোক এলাকার একটি বাড়িতে মা ও তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, এটি সম্ভবত ‘মার্ডার-সুইসাইড’ অর্থাৎ খুন করে আত্মহত্যার ঘটনা। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের অ্যাটর্নি জেনারেল জন এম. ফর্মেলার দপ্তর, নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্য পুলিশ এবং পেমব্রোক পুলিশ বিভাগের প্রধান গ্যারি আর. গ্যাসকেল-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোররাতের দিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাঁরা ঘরে প্রবেশ করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২৬ বছর বয়সী জুলিয়া বার্ন এবং তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলে ব্লেক বার্নকে দেখতে পান। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলেই জুলিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্লেককে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ মেডিকেল পরীক্ষক অ্যাবিগেল আলেকজান্ডারের অটোpsy রিপোর্ট অনুযায়ী, মা ও ছেলের দু’জনেরই মাথার একপাশে গুলি লেগেছিল। ব্লেকের মৃত্যু ‘নৃশংস হত্যা’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। জুলিয়ার মৃত্যুর কারণ এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।

পেমব্রোক এলাকার এক প্রতিবেশী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনি সাধারণত ওই বাড়ির বাসিন্দাদের খুব একটা দেখেননি। ঘটনার দিন তিনি গুলির শব্দ শুনেছিলেন এবং পরে জানতে পারেন এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় স্কুলের বোর্ড চেয়ার, কেরী ডিন জানান, ঘটনার পর সেখানকার স্থানীয় স্কুলগুলোতে শিশুদের নিতে অভিভাবকদের আনাগোনা বাড়ে।

পেমব্রোক এলাকার সিলেক্ট বোর্ডের চেয়ার, কারেন ইয়েটন জানান, স্কুল বোর্ড বিষয়টি অবগত আছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা বিবেচনা করেন, তবে অনুগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ৯৮৮ নম্বরে ফোন করুন অথবা ‘STRENGTH’ লিখে ৭৪১৪৪১ নম্বরে মেসেজ করুন। এছাড়াও, এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য 988lifeline.org ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *