মাতৃদিবসে স্বামীর অন্য মায়ের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তে এক নতুন মায়ের মন খারাপ।
আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা জানানোর একটা প্রবণতা দেখা যায়। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যেখানে এক নতুন মা তার স্বামীর আসন্ন মাতৃদিবসে শাশুড়ির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তে মন খারাপ করেছেন।
ঘটনাটি তিনি তুলে ধরেছেন ‘Reddit’ নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, তাদের একটি ছয় মাস বয়সী সন্তান রয়েছে এবং আসন্ন মাতৃদিবসটি তার জীবনে প্রথম মাতৃদিবস।
তিনি জানান, সাধারণত তিনি ফাদার্স ডে-তে স্বামীর জন্য সবরকম আয়োজন করেন, যাতে তিনি ভালোভাবে সময় কাটাতে পারেন।
ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামী নাকি মাতৃদিবসে তার মায়ের সাথে সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন, যা শুনে তিনি বেশ হতাশ হয়েছেন।
স্বামীর এই সিদ্ধান্তে তার কয়েকটি উদ্বেগের কারণ রয়েছে। প্রথমত, তিনি এখনও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান এবং শাশুড়ির বাড়িতে তেমন কোনো ব্যক্তিগত স্থান নেই, যেখানে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে শিশুকে দুধ পান করাতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, শাশুড়ির বাড়িটি তার বাড়ি থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত, এবং তার সন্তানটি এত দীর্ঘ সময় গাড়িতে ভ্রমণ করার মতো পরিস্থিতিতে নেই।
এছাড়াও, সেখানে সন্তানের বিশ্রাম নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
ওই নারী আরও জানান, তিনি চান তার স্বামী তার মায়ের সাথে দেখা করুক, তবে তিনি চান না যে মাতৃদিবসের দিনটা তিনি একা কাটান।
কারণ, তিনি নিজেও একজন কর্মজীবী নারী এবং তার স্বামীও সাধারণত সপ্তাহের শেষে নাইট ডিউটি করেন।
তাদের একমাত্র ‘পারিবারিক’ দিন হলো রবিবার, যেদিন তিনি বাড়ির কাজগুলি করেন এবং সন্তানের দেখাশোনার জন্য সাহায্য পান।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময়, অনেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।
কেউ কেউ তাদের শাশুড়িকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেছেন।
তবে, ওই নারী জানিয়েছেন যে, তার শাশুড়ি তাদের বাড়িতে আসতে খুব একটা আগ্রহী নন।
এমনকি, তাদের সন্তান জন্মের পর প্রথম ক্রিসমাসেও তিনি একা ছিলেন, কারণ তার স্বামী তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনায়, মা ও স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দ্বৈত ভূমিকা এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
অনেক পরিবারেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে, যেখানে মা এবং শাশুড়ির মধ্যেকার সম্পর্কের কারণে স্বামী উভয় সংকটে পড়েন।
এই পরিস্থিতিতে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।
তথ্য সূত্র: People