নিউ অরলিন্স-এর একটি কারাগার থেকে সাত জন কয়েদী পালিয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। শুক্রবার রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটে, যা সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
পলাতক আসামীদের মধ্যে গুরুতর অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও রয়েছে। খবর অনুযায়ী, তারা কারাগারের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
পলাতকদের খোঁজে স্থানীয়, রাজ্য এবং ফেডারেল কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ, যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল সার্ভিস এবং ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
পলাতকদের ধরতে জনগণের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে এবং তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। এফবিআই প্রত্যেক পলাতকের জন্য ১০,০০০ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
এছাড়া, ক্রাইম স্টপার্স এবং অন্য একটি সংস্থা পুরস্কারের ঘোষণা করেছে।
পলাতকদের মধ্যে রয়েছেন কোরি বয়েড, জার্মেইন ডোনাল্ড, ডেরেক গ্রোভস, এন্টন মাসি, গ্যারি প্রাইস, লিও টেট এবং লেন্টন ভ্যানবুরেন। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র সহ গুরুতর হামলা, অবৈধভাবে বন্দী করা এবং হত্যার মতো অভিযোগ রয়েছে।
কারাগার থেকে পালানোর পর কয়েদিরা একটি বার্তা লিখে যায়, যাতে তারা তাদের পালানোকে সহজ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ঘটনার পর, জেলার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, কারাগারের অবকাঠামো এবং জনবলের অভাবের কারণে এমনটা ঘটেছে।
ঘটনার পর, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানকার জেলা অ্যাটর্নির অফিসের কর্মীরাও তাদের নিরাপত্তার কারণে শহর ছেড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরে অবস্থিত এই কারাগারে ঘটা ঘটনাটি সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই প্রকাশ্যে এনেছে।
কর্তৃপক্ষ বর্তমানে পলাতকদের ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এর সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন