নিউ অরলিন্স-এর কারাগারে বন্দী দশজন কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জেরে সেখানকার শেরিফ সুসান হাটসন তার পুনর্নির্বাচন অভিযান স্থগিত করেছেন। গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর বর্তমানে পাঁচজন পলাতক এবং পাঁচজনকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে শেরিফের এই সিদ্ধান্ত আসে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেরিফ হাটসন জানান, তিনি তার পুনরায় নির্বাচন করার পরিকল্পনা স্থগিত করছেন।
তিনি বলেন, জনগণের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় নেতাদের সমালোচনার মুখে তিনি এমন মন্তব্য করেন। গত সপ্তাহের কার escape ঘটনার পর, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার পর জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্ত চলছে।
এদিকে, কারাগারে ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হলেন, সেখানকার রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী স্টার্লিং উইলিয়ামস।
তার বিরুদ্ধে কার escape-এ সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, উইলিয়ামস ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনায় সহায়তা করেছেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, উইলিয়ামসকে ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১১ কোটি টাকার বেশি) জামানতের বিনিময়ে আটক করা হয়েছে।
পলাতক কয়েদিদের মধ্যে রয়েছেন আন্তোইন ম্যাসি, যিনি এর আগেও একবার কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি উত্তর লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালিয়ে যান।
অবশেষে টেক্সাস থেকে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুরুতর হামলা, হত্যার চেষ্টা এবং আরও অনেক অপরাধ।
বর্তমানে, লুইজিয়ানা ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটি অ্যান্ড কারেকশনস ঘটনার তদন্ত করছে। তারা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কর্মী নিয়োগ এবং সেখানকার নীতিমালার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই ঘটনার জেরে নিউ অরলিন্স শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তথ্য সূত্র: সিএনএন