নিউইয়র্ক সিটি: যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুখী শহর!

নিউ ইয়র্ক সিটি, যা বিশ্বের অন্যতম পরিচিত শহর, সম্প্রতি একটি সুখ সূচকে আমেরিকার মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। “হ্যাপি সিটি ইনডেক্স” নামক একটি গবেষণা অনুযায়ী, এই শহরটি জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক নম্বর স্থান অধিকার করেছে।

তবে, বিশ্ব তালিকায় এর স্থান ১৭তম।

**সুখ সূচকের মানদণ্ড এবং নিউ ইয়র্কের অবস্থান**

ইনস্টিটিউট ফর কোয়ালিটি অফ লাইফ (Institute for Quality of Life) প্রতি বছর এই “হ্যাপি সিটি ইনডেক্স” প্রকাশ করে। এই সূচক তৈরি করার জন্য তারা বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে, যেমন – অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষা, ডিজিটাল দক্ষতা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান।

এই মূল্যায়নের জন্য শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়।

২০২৪ সালের হিসেবে, নিউ ইয়র্ক সিটির বাজেট ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৮০ কোটি পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায়, আনুমানিক ২৬ লাখ কোটি টাকার বেশি)। এই শহরের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৬৭,৭৪২ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায়, প্রায় ৯৫ লাখ টাকার বেশি)।

অর্থনৈতিক দিক থেকে নিউ ইয়র্কের প্রবৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ। এছাড়াও, এখানকার নাগরিকদের মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব এবং ডিজিটাল দক্ষতার প্রসার উল্লেখযোগ্য।

পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও নিউ ইয়র্ক সিটি বেশ এগিয়ে আছে। এখানকার গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ এর সুবিধা গ্রহণ করে।

শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবহার করে। স্মার্ট ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থা এখানকার পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে তুলেছে।

তবে, একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সিটিজেনস বাজেট কমিশনের (Citizens Budget Commission) সমীক্ষা অনুযায়ী, নিউ ইয়র্কের মাত্র ৩০ শতাংশ বাসিন্দা তাঁদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সন্তুষ্ট।

**বিশ্বের অন্যান্য শহরের সাথে তুলনা**

বিশ্বের সুখী শহরগুলোর তালিকায় নিউ ইয়র্ক সিটির অবস্থান ১৭তম। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক।

এরপর যথাক্রমে জুরিখ (সুইজারল্যান্ড), সিঙ্গাপুর এবং আরহাস (ডেনমার্ক)-এর নাম আসে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে মিনিয়াপোলিস, যা ৩০তম স্থানে রয়েছে।

এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, একটি শহরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *