নিউ ইয়র্কের এক অত্যাধুনিক হোটেলে: হাডসন নদীর দৃশ্য আর রুফটপ পুলের অভিজ্ঞতা।
নিউ ইয়র্ক শহরের একটি বিখ্যাত এলাকা হলো ‘মিটpacking ডিস্ট্রিক্ট’। একসময় এটি ছিল মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, কিন্তু বর্তমানে এটি ফ্যাশন, নাইটলাইফ এবং অভিজাত রেস্টুরেন্টের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত।
এই এলাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি হোটেল, যা সম্প্রতি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে নতুন রূপ নিয়েছে।
এই হোটেলটি সম্প্রতি তাদের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে এবং প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছে।
সংস্কারের ফলে এখানকার কক্ষ, সাধারণ স্থান এবং রুফটপ নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও, এখানে একটি প্রাইভেট মেম্বারস ক্লাব ও ইতালীয় উপকূলের ‘লা ডলচে ভিটা’ শৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি নতুন ককটেল লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে।
হোটেলের কক্ষগুলো আধুনিক সব সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। প্রতিটি কক্ষে আরামদায়ক সোফা, দ্রুত শরীরচর্চার জন্য ‘লুলু লেমন স্টুডিও মিরর’, সুন্দর টাইলস করা বাথরুম, বাথরুমের উন্নত সামগ্রী এবং একটি ব্লুটুথ স্পিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও, এখানে রয়েছে ১,৭০০ বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ‘পেন্টহাউস’ স্যুট, যেখানে হাডসন নদীর মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।
এই সুটের প্রতিটি দেয়াল সজ্জিত করা হয়েছে বিখ্যাত শিল্পী, যেমন – অ্যাডি ওরেন, মিক রক, ড্যানিয়েল ম্যাজোনে এবং ফ্রাঙ্ক স্টেলার শিল্পকর্ম দিয়ে।
হোটেলটিতে খাবারের জন্য পাঁচটি ভিন্ন স্থান রয়েছে।
গ্রাউন্ড ফ্লোরে আছে ‘মেদুজা মেডিটেরানিয়া ইউ’ নামক একটি রেস্টুরেন্ট, যেখানে ভূমধ্যসাগরীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করা যায়।
রুটপ লাউঞ্জে বসে ককটেল ও হালকা খাবারের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক শহরের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যেতে পারে।
সকালের নাস্তার জন্য লবি ক্যাফেতে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার।
রাতের খাবারের জন্য ফরাসি রেস্টুরেন্ট ‘লে কয়েন’ এবং রুফটপের সুশি রেস্টুরেন্ট ‘সাইশিন’ উল্লেখযোগ্য। ‘সাইশিন’-এ জাপানি রান্নার বিভিন্ন পদ পরিবেশন করা হয়।
হোটেলের রুফটপ পুলটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়, যেখানে বসে শহরের ক্লান্তি দূর করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে ২৪ ঘণ্টা খোলা ফিটনেস সেন্টার, যেখানে আধুনিক সরঞ্জাম ও একটি সনা-র ব্যবস্থা আছে।
এছাড়াও, এখানে ‘সেভেন২৪ কালেকটিভ’ নামে একটি বিশেষ ক্লাব রয়েছে, যা সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
পরিবার ও শিশুদের জন্য হোটেলটি উপযুক্ত।
ছোট শিশু থাকলে তাদের জন্য এখানে বেবি বেড এবং বাথরুমের প্রয়োজনীয় উপকরণ পাওয়া যায়।
পোষা প্রাণী সাথে নিয়ে ভ্রমণকারীদের জন্যও এখানে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা কিছু কক্ষও এখানে বিদ্যমান।
হোটেলটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর চমৎকার অবস্থান।
এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় সহজেই গণপরিবহন ব্যবহার করা যায়।
হোটেলের কাছেই রয়েছে হাডসন নদী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক স্থান এবং কেনাকাটার সুব্যবস্থা।
নিউ ইয়র্কে ভ্রমণকারী যারা বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই হোটেলটি একটি আদর্শ স্থান হতে পারে।
এখানে থাকতে প্রতিদিন প্রায় ৫৬,০০০ টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) মতো খরচ হতে পারে।
আমেরিকান এক্সপ্রেস-এর ‘ফাইন হোটেলস + রিসোর্টস’-এর অংশ হওয়ায়, এই কার্ড ব্যবহারকারীরা বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার