যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হওয়া এক মা ও তাঁর তিন সন্তানকে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত মাসে নিউইয়র্কের একটি দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছিল। নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হুকুল সোমবার এই খবর জানান।
জানা গেছে, গত ২৭শে মার্চ তারিখে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর কর্মকর্তারা একটি তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে ওই খামারে অভিযান চালান। অভিযোগ ছিল, সেখানে শিশু যৌন নিপীড়নের উপকরণ রয়েছে। অভিযানের সময়, কর্মকর্তারা ওই খামারে বসবাস করা একজন মা ও তাঁর তিনটি সন্তানের সন্ধান পান।
ওই পরিবারের সদস্যদের আটক করে টেক্সাসের কার্নেস কাউন্টি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, যা নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১,৮০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
আটকের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খামারে পাওয়া যাওয়া অন্যান্য ‘অবৈধ অভিবাসী’দের সাথে ওই মা ও শিশুদেরও আটক করা হয়েছে। তবে আটকের পর থেকেই স্থানীয় শিক্ষক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কমিউনিটির সদস্যরা তাদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন।
স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জেইমি কুক জানান, আটক হওয়া শিশুরা সবাই নিয়ম মেনে আদালতে হাজিরা দিচ্ছিল এবং তাদের অভিবাসন বিষয়ক সব কার্যক্রম সঠিক পথে ছিল।
আটকের ঘটনার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা হোয়াইট হাউসের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোম্যানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন এবং তাদের মুক্তির দাবি জানান। ঘটনার দশ দিন পর পরিবারটিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর পরিবারটি এখন তাদের ব্যক্তিগত জীবন ফিরিয়ে আনতে চাইছে এবং তাদের এই যাত্রাপথে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
গভর্নর ক্যাথি হুকুল এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “আমরা সবসময় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের সমর্থন করি না, যেখানে শিশুদের স্কুল থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং পরিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন