আতঙ্কে নিউয়ার্ক বিমানবন্দর! জরুরি ঘোষণায় যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

নিউ ইয়র্ক-এর নিউয়ার্ক বিমানবন্দরে বিলম্বিত হচ্ছে ফ্লাইট, উদ্বিগ্ন যাত্রীসাধারণ।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) নিউ ইয়র্কের নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (EWR) বিমান চলাচল ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। রানওয়ে সংস্কার, কর্মী সংকট এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে, এই বিমানবন্দর থেকে যাত্রী-সাধারণের যাত্রা কিছুটা হলেও বিলম্বিত হচ্ছে।

বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিলাডেলফিয়ার TRACON-এ (বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র) কর্মী সংকট এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিমান আগমন ও বহির্গমন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে হচ্ছে। FAA দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং কর্মী সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন সচিবও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। FAA এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক্যাল উন্নতি দ্রুত করার পাশাপাশি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, বিমান সংস্থাগুলো তাদের যাত্রীদের জন্য কিছু ছাড়ের ঘোষণা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ৬ই মে থেকে ১৭ই মের মধ্যে নিউয়ার্ক থেকে যাত্রা করা ফ্লাইটের জন্য পরিবর্তন ফি মওকুফ করছে। যাত্রীসাধারণকে ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্যের জন্য নিয়মিত নোটিফিকেশন সাবস্ক্রাইব করার এবং বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে ফ্লাইটের অবস্থা জানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) স্কট কিরবি এক বিবৃতিতে এই বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। তার মতে, বিমানবন্দরের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফ্লাইট সংখ্যা সীমিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।

যাত্রীদের জন্য বিকল্প হিসেবে নিউ ইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া বিমানবন্দর (LGA) অথবা ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (PHL) মতো কাছাকাছি বিমানবন্দরগুলোতে টিকিট বুকিং করার সুযোগও রয়েছে।

নিরাপত্তার প্রসঙ্গে স্কট কিরবি আরও বলেন, নিউয়ার্ক থেকে সব ফ্লাইট সম্পূর্ণ নিরাপদ। FAA প্রযুক্তিগত সমস্যা, কর্মী সংকট ইত্যাদি কারণে বিমানের গতি কমিয়ে দিতে বা ফ্লাইট বাতিল করতে বলতে পারে, তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো আপস করা হয় না। পাইলটদের হাজার ঘণ্টার উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়াও, কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বিমানটিকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।

তথ্য সূত্র: Travel and Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *