গ্রেপ্তার: অবশেষে মুক্তি, বিস্ফোরক! রাস বারাকার ঘটনা

নিউ জার্সির নিউয়ার্ক শহরের মেয়র রাস বারাকাকে ফেডারেল পুলিশ গ্রেপ্তারের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার, ৯ই মে তারিখে, মেয়র বারাকাকে একটি অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টারের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, তিনি ঐ কেন্দ্রের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।

নিউ জার্সির অ্যাটর্নি অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মেয়র বারাকা কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের নিষেধ অমান্য করে “ডেলানে হল” নামের ঐ ডিটেনশন সেন্টারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এর ফলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রবেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মেয়র বারাকা, স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এই ডিটেনশন সেন্টারটি কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রটি সম্ভবত অবৈধভাবে খোলা হয়েছে।

তিনি এবং আরো কয়েকজন জনপ্রতিনিধি, যেমন— রবার্ট মেনেনdez, লামোনিকা ম্যাকআইভার এবং বনি ওয়াটসন কোলম্যান, একটি পূর্বনির্ধারিত পরিদর্শনের জন্য সেখানে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপরেই সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেডারেল এজেন্টরা প্রতিনিধিদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং বারাকাকে হাতকড়া পরিয়ে একটি সাদা গাড়িতে করে নিয়ে যান।

অন্যদিকে, ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য মেয়রের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, কংগ্রেসম্যান এবং মেয়রের এই ধরনের আচরণ “ভীতিকর রাজনৈতিক কৌশল” এবং এর ফলে কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়েছে।

তারা আরো দাবি করে, ডিটেনশন সেন্টারের নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সকল অনুমতি রয়েছে।

এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মার্ফি। তিনি মেয়র বারাকার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

ডেলানে হল, যেটি আগে একটি হাফওয়ে হাউস ছিল, এখন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। জানা গেছে, এই কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য জিও গ্রুপ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সমান।

এই চুক্তির আওতায়, কেন্দ্রটিতে ১০০০ জন বন্দী থাকতে পারবে এবং এটি বছরে প্রায় ৬ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৩৯ কোটি টাকা) আয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি এবং ডিটেনশন সেন্টারগুলোর কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *