আতঙ্ক! অভিবাসন কেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগে মেয়র রাস বারাকার বিচার?

নিউ জার্সির নিউয়ার্ক শহরের মেয়র রাস বারাকা, যিনি আসন্ন নির্বাচনে গভর্নরের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, অভিবাসন কেন্দ্রে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে একটি ডিটেনশন সেন্টারে প্রবেশের চেষ্টার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।

বৃহস্পতিবার তিনি এই মামলার শুনানির জন্য ফেডারেল আদালতে হাজির হবেন।

জানা গেছে, মেয়র বারাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে কয়েকজন কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ৩০ দিনের কারাদণ্ড হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মেয়র বারাকা, কংগ্রেস সদস্য রবার্ট মেনেনদেজ, লামোনিকা ম্যাকাইভার এবং বনি ওয়াটসন কোলম্যানের সঙ্গে ওই ডিটেনশন সেন্টারে প্রবেশ করতে যান। কিন্তু কর্মকর্তাদের বাধার সম্মুখীন হন তাঁরা।

রিপাবলিকান হাউজ স্পিকার মাইক জনসন এই ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এদিকে, মেয়র বারাকা মঙ্গলবারও একই স্থানে ফিরে যান, তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তিনি ফিরে আসেন। তবে শুক্রবারের ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

মেয়র বারাকা দাবি করেছেন, তিনি ডিটেনশন সেন্টারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেননি। এই কেন্দ্রটি ‘জিও গ্রুপ’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থা পরিচালনা করে।

সংস্থাটির সঙ্গে ইউ.এস. ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)-এর ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি রয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার সমান।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একজন ফেডারেল কর্মকর্তা বারাকাকে জানান, তিনি যেহেতু কংগ্রেস সদস্য নন, তাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এরপরে বারাকা প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে যোগ দেন এবং গেটের বাইরে কথা বলতে থাকেন।

সেই সময় কয়েকজন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এজেন্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রিপাবলিকানরা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন, অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা তাদের প্রতিক্রিয়া এখনো জানাননি।

আগামী ১০ই জুন অনুষ্ঠিতব্য প্রাইমারি নির্বাচনের আগে এই ঘটনা বারাকার রাজনৈতিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *