নতুন বিয়ে করা এক নারীর শ্বশুরমশাইয়ের আচরণে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসা ওই নারীর মনে হচ্ছে, তার শ্বশুরমশাইয়ের মনে তার প্রতি অন্যরকম একটা আকর্ষণ রয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়েই তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা, সেই দ্বিধায় ভুগছেন তিনি।
সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞাতা শেয়ার করে ওই নারী জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পার হলেও তিনি এখনও পর্যন্ত সবকিছুকে যেন একটা ‘ঝড়’ হিসেবে অনুভব করছেন। স্বামীর দিক থেকে তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা পেলেও, শ্বশুরমশাইয়ের আচরণে তিনি বেশ অস্বস্তি বোধ করছেন।
শুরুতে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি। হয়তো নতুন সম্পর্ক, শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ—এসব কারণে নার্ভাসনেস থেকে এমনটা হচ্ছে ভেবেছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হয়েছে, শ্বশুরমশাই যেভাবে তার দিকে তাকান, সেটা স্বাভাবিক নয়।
একজন শ্বশুর তার ছেলের বউয়ের প্রতি এমনভাবে তাকান না।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, তার শ্বশুরমশাই প্রথমে তাকে কিছু ‘অস্বাভাবিক’ প্রশংসা করতে শুরু করেন। একবার তিনি একটি সাধারণ পোশাক পরেছিলেন। তখন শ্বশুরমশাই তাকে বলেছিলেন, ‘ওই রঙটা তোমাকে দারুণ মানিয়েছে… সুন্দর লাগছে।’
বিষয়টি শুনে প্রথমে হেসে উড়িয়ে দিলেও, তার মনে হয়েছিল, যেন এর গভীরে অন্য কিছু লুকানো রয়েছে। এরপর তিনি খেয়াল করেন, যখন আশেপাশে কেউ থাকে না, তখন শ্বশুরমশাই তার খুব কাছে এসে দাঁড়ান।
এমনকি ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। একবার তো তিনি তাকে হলঘরের আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকতেও দেখেন।
ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি সবসময়ই চেষ্টা করেছেন, বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে। তিনি হয়তো ভুল ভাবছেন, এমনটাই মনে করতে চেয়েছেন। কিন্তু একবার রাতে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার শ্বশুরমশাই গভীর রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেন কারও জন্য অপেক্ষা করছেন।
তাকে দেখে তিনি মুচকি হেসে জানতে চান, ‘ঘুম হয়নি বুঝি?’
ওই নারীর মতে, লোকটির কণ্ঠ শুনে তার গা শিরশির করে উঠেছিল।
কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেননি তিনি। কারণ, তার স্বামী বাবাকে খুব ভালোবাসেন এবং তিনি চান না, তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ফাটল ধরুক।
তিনি বলেন, ‘শ্বশুরের সঙ্গে একা থাকলেই আমি একটা অস্বস্তি অনুভব করি, সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। নিজেকে নিরাপদ মনে হয় না। আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, আমার মনে হচ্ছে—এটা সবে শুরু।’
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা তাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘আপনার ভেতরের অনুভূতি আপনাকে সতর্ক করছে, এর কারণ আছে। নিজের ভেতরের কথাকে অগ্রাহ্য করলে মানসিক শান্তির চেয়েও বেশি কিছু হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
যখন কোনো দৃষ্টিকে হুমকির মতো মনে হয়, তখন নীরবতাও ভীতিকর হয়ে ওঠে—এটা কোনো মানসিক সমস্যা নয়, বরং আত্মরক্ষার একটি উপায়।’
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘অবশ্যই আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। যদি তিনি তার বাবার পক্ষ নেন এবং আপনার কথাকে গুরুত্ব না দেন, তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
তথ্য সূত্র: পিপলস