নতুন ৫ জন প্রধান কোচ: কঠিন চ্যালেঞ্জে কারা?

**আমেরিকান ফুটবল লীগ (NFL)-এর নতুন কোচ: চ্যালেঞ্জ আর প্রত্যাশা**

বিশ্বজুড়ে খেলাধুলার জনপ্রিয়তা সবসময়ই তুঙ্গে, আর এই তালিকায় আমেরিকান ফুটবল লীগ (NFL)-এর নামও উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছরই সারা বিশ্ব থেকে এই খেলাটির দর্শক বাড়ে।

সম্প্রতি, ২০২৩-২৪ সিজনের জন্য NFL-এ পাঁচজন নতুন প্রধান কোচ নিয়োগ করা হয়েছে। এই নতুন মুখেরা তাদের নিজ নিজ দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং তাদের সামনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।

আসুন, তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

**নতুন কোচ ও তাদের দায়িত্ব**

এই বছর যে পাঁচজন নতুন কোচ প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন:

* **অ্যারন গ্লেন (নিউ ইয়র্ক জেট্‌স):** ৫৩ বছর বয়সী গ্লেন এর আগে ডেট্রয়েট লায়ন্সের ডিফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেট্‌সের দীর্ঘ ১৪ বছরের প্লে-অফ খরা কাটিয়ে দলকে সাফল্যের পথে ফেরানোই এখন তার প্রধান চ্যালেঞ্জ।

তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে তোলার দিকে তিনি মনোযোগ দিচ্ছেন।

* **লিয়াম কোয়েন (জ্যাকসনভিল জাগুয়ার্স):** ৩৯ বছর বয়সী কোয়েন এর আগে ট্যাম্পা বে বুকানিয়ার্সের অফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। কোয়েনকে মূলত আক্রমণভাগের উন্নতির জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। তরুণ কোয়ার্টারব্যাক ট্রেভর লরেন্সকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করাই তার প্রধান লক্ষ্য।

* **বেন জনসন (শিকাগো বিয়ার্স):** ৩৯ বছর বয়সী জনসন এর আগে ডেট্রয়েট লায়ন্সের অফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তিনি মূলত তরুণ কোয়ার্টারব্যাক ক্যালেব উইলিয়ামসকে খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেবেন।

* **কেলেন মুর (নিউ অরলিন্স সেইন্টস):** ৩৭ বছর বয়সী মুর এর আগে ডালাস কাউবয়স, লস অ্যাঞ্জেলেস চার্জার্স এবং ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের অফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। তার দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অভাব রয়েছে, তাই দলটিকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসাটা তার জন্য বেশ কঠিন হবে।

* **ব্রায়ান স্কটেনহাইমার (ডালাস কাউবয়স):** ৫১ বছর বয়সী স্কটেনহাইমার এর আগে কাউবয়স, সিহকস, র‍্যামস এবং জেট্‌সের অফেন্সিভ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি কোয়ার্টারব্যাক ডাক প্রেসকটের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

**চ্যালেঞ্জগুলো**

নতুন কোচদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো হলো দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করা, তরুণ খেলোয়াড়দের তৈরি করা এবং দলের সংস্কৃতি পরিবর্তন করা। প্রতিটি দলের নিজস্ব কিছু দুর্বলতা রয়েছে, যা কাটিয়ে ওঠা তাদের জন্য জরুরি।

যেমন, কারো ভালো কোয়ার্টারব্যাকের অভাব, কারো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব, আবার কারো দলের পুরনো সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চ্যালেঞ্জ।

**ভবিষ্যতের সম্ভাবনা**

এই নতুন কোচদের হাত ধরে দলগুলো কেমন করে, এখন সেটাই দেখার বিষয়। খেলোয়াড় নির্বাচন, কৌশল নির্ধারণ এবং দলের সামগ্রিক উন্নতিতে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

তাদের সাফল্যের ওপর নির্ভর করছে দলগুলোর ভবিষ্যৎ।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *