মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় খালেইন স্যান্ডার্স-এর উদ্যোগে এলজিবিটিকিউ+ (LGBTQ+) সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য একটি বিশেষ ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিবিরটি খেলাধুলার জগতে একটি নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
সেন্ট লুইসে অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পটি আগামী ৫ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। স্যান্ডার্স মনে করেন, খেলাধুলায় সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকা উচিত।
তিনি তার নিজের ভাই ক্যামেরন স্যান্ডার্সের কাছ থেকে এই বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ক্যামেরন একজন নৃত্যশিল্পী এবং এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের একজন সদস্য।
স্যান্ডার্স বলেন খেলাধুলায় সবার জন্য একটি স্বাগত জানানোর মতো পরিবেশ তৈরি করতে চান, যেখানে তাদের পরিচয় নির্বিশেষে সবাই নিজেদের মতো করে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে।
স্যান্ডার্স কানসাস সিটি চিফসের হয়ে খেলার সময় দুটি সুপার বোল জিতেছেন। তিনি বলেন, খেলার মাঠের ড্রেসিংরুমে অনেক সময় এমন পরিবেশ দেখা যায় যা সবার জন্য উপযুক্ত নয়।
সেখানে ভিন্ন মানসিকতার মানুষের প্রতি বিরূপ মন্তব্য বা আচরণ প্রায়ই দেখা যায়। তিনি মনে করেন, খেলাধুলায় শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা এবং দক্ষতার মূল্যায়ন করা উচিত, কারো লিঙ্গ পরিচয় বা যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে নয়।
এই ক্যাম্পের মাধ্যমে, স্যান্ডার্স এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের শিশুদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে চান এবং তাদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক ধারণা দূর করতে চান।
তিনি চান, সবাই যেন খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে পারে এবং নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে পারে।
স্যান্ডার্সের এই উদ্যোগকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে মনে করেন, খেলাধুলায় এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ খুবই জরুরি।
তবে, কিছু মানুষ এই ক্যাম্পের বিরোধিতা করেছেন এবং তাদের ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। স্যান্ডার্স তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান এবং তাদের বোঝাতে চান যে এই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের মধ্যে সহানুভূতির মনোভাব তৈরি করা এবং সকলকে আপন করে নেওয়া।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকায় এলজিবিটিকিউ+ পরিচয় দেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে, স্যান্ডার্সের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, অনেক এলজিবিটিকিউ+ শিশু খেলাধুলায় অংশগ্রহণে দ্বিধা বোধ করে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। স্যান্ডার্সের এই ক্যাম্প তাদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল হবে, যেখানে তারা নিজেদের মতো করে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবে এবং তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন