বাংলার উঠতি তারকা নিকো পার্কার, যিনি অভিনেত্রী থান্ডিওয়ে নিউটন এবং পরিচালক ওল পার্কারের কন্যা, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করছেন। হলিউডের আলো ঝলমলে জগতে বেড়ে ওঠা এই তরুণীর অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ শুরুতে তেমন ছিল না, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় যখন তিনি ২০১৯ সালের ছবি ‘ডাম্বো’-তে অভিনয়ের সুযোগ পান।
এরপর থেকে যেন তার সাফল্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
নিকোর বাবা-মা, থান্ডিওয়ে নিউটন এবং ওল পার্কার, দুজনেই অভিনয় জগতের পরিচিত মুখ। ১৯৯৮ সালে তাদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
নিকো তাদের তিন সন্তানের মধ্যে একজন। তার বোন রিপলিও ইতোমধ্যে লেখিকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় কিশোর-নাটক ‘এভরিথিং নাও’-এর লেখক ও নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
নিকোর মায়ের অনুপ্রেরণা:
নিকোর নামকরণের পেছনেও রয়েছে একটি বিশেষ গল্প। জার্মান গায়িকা নিকো (আসল নাম ক্রিস্টা প্যাফজেন) ছিলেন তার নামের অনুপ্রেরণা।
নিকো জানিয়েছেন, তার বাবা-মা হয়তো তার জন্য অন্য কোনো নাম খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরবর্তীতে মায়ের ইচ্ছাতেই তার নাম রাখা হয় নিকো।
এই নামটির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি সবসময় ভালো কাজ করার চেষ্টা করেন।
পেশাগত জীবনে পরামর্শ:
অভিনয় জগতে কেমন আচরণ করতে হয়, সে বিষয়ে নিকো তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে মূল্যবান পরামর্শ পান। তার বাবা তাকে সেটের সকলের নাম মনে রাখতে এবং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার কথা বলেন।
মা থান্ডিওয়ে নিউটন তাকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে এবং নিজের কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন।
নিকোর সাফল্যের পথে বাবা-মায়ের সমর্থন:
বাবা-মা দুজনেই মেয়েকে তার অভিনয় জীবনে সমর্থন করেন।
ওল পার্কার প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিকোর কাজের প্রশংসা করেন। সম্প্রতি, ‘সানকোস্ট’ সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে তিনি এই সিনেমা এবং তার মেয়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নিকো এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এর জন্য তিনি সানডেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ব্রেকthrough পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন।
নিকো পার্কারের মা, থান্ডিওয়ে নিউটন, নিজেও একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী। তিনি তার মেয়ের কাছে একজন অনুপ্রেরণা। নিকো সব সময় তার মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এবং তিনি তার মায়ের কাজের প্রতি অত্যন্ত গর্বিত।
থান্ডিওয়ে চান তার মেয়ে যেন নিজের অভিজ্ঞতা তৈরি করে এবং নিজের পথে চলে।
নিকোর নিজের চুলের প্রতি ভালোবাসা:
ছোটবেলায় নিকো তার চুলের স্টাইল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তবে মা থান্ডিওয়ের অনুপ্রেরণায় তিনি এখন তার প্রাকৃতিক রূপকে ভালোবাসেন।
থান্ডিওয়ে একসময় তার চুল সোজা করতেন, কিন্তু পরে তিনি এটি নিয়ে অনুশোচনা করেছেন।
নিকো পার্কারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল:
নিকো ইতিমধ্যেই ‘দ্য লাস্ট অফ আস’ এবং ‘হাউ টু ট্রেইন ইউর ড্রাগন’-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তার অভিনয় দক্ষতা এবং পরিবারের সমর্থন তাকে সাফল্যের পথে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই আশা করা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল