সারকোজি: জেল-জীবনে কেমন কাটবে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্টের?

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই রায় আসে।

সারকোজি অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সারকোজি ২০০৭ সালের নির্বাচনে লিবিয়ার কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিয়েছিলেন। বিনিময়ে তিনি লিবিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে রাজি হয়েছিলেন।

এই অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে সম্ভবত তিনি সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে থাকবেন না। সম্ভবত ভিআইপি সেলে রাখা হতে পারে তাকে।

লা সান্তে প্যারিসের একটি সুপরিচিত কারাগার। সাধারণত এই কারাগারে বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, অথবা অন্য কোনো কারণে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হতে পারে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়।

কারাগারের ভেতরের পরিবেশ নিয়ে সেখানকার প্রাক্তন বন্দিরা বিভিন্ন সময়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, কারাগারের পরিবেশ খুব একটা আরামদায়ক নয় এবং রাতে বন্দিদের চিৎকারে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, এই রায় ‘অবিচার’।

সারকোজি ফ্রান্সের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার এই কারাদণ্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ফ্রান্সের ইতিহাসে এর আগে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এই কারাগারে বন্দী হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, ১৯৭১-এর কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত ও খুনি জ্যাক মেসরিন এবং ইহুদি ক্যাপ্টেন আলফ্রেড ড্রেফাস।

সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজির কারাদণ্ডের ঘটনা ফ্রান্সে রাজনৈতিক দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি বড় উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আপিলের পর এই মামলার ভবিষ্যৎ কী হয়।

তথ্যসূত্র: সিএনএন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *