নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ওকigwe-ওয়েরি সড়কে সংঘটিত এই ঘটনায় ২০টির বেশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আক্রমণকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, ইনডিজেনাস পিপল অফ বিয়াফ্রা (আইপিওবি)-এর সদস্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই হামলা জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।”
ঘটনার পর নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ইমো রাজ্যের পুলিশ মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্দুকধারীরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে ভোর ৪টায় মহাসড়ক অবরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজনদের খোঁজে আশেপাশের বন ও এলাকাগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
ইমো রাজ্যের পুলিশ কমিশনার আবোকি দাজুমার নেতৃত্বে একটি যৌথ নিরাপত্তা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এই দলে নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্টেট সিকিউরিটি সার্ভিসের সদস্যরা ছিলেন।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার সরকার আইপিওবি-কে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গোষ্ঠীটি দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যেখানে প্রধানত ইগবো সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে।
১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে, বিয়াফ্রা অঞ্চলে সংঘটিত গৃহযুদ্ধে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে এই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা