নিকি আমুকা-বার্ড: জীবনের সিনেমায় রুপা ফুলের ড্রাগ কুইনদের দেখতে চান!

নটিংহ্যাম থেকে উঠে আসা, নাইজেরীয়-ব্রিটিশ অভিনেত্রী নিকি আমুকা-বার্ড বর্তমানে ৪9 বছর বয়সী, অভিনয় জগতে নিজের দৃঢ় স্থান তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা।

অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, সবকিছু নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করেছেন তিনি।

ছোটবেলা কেটেছে নাইজেরিয়ায়, পরবর্তীকালে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ল্যামডায় (LAMDA) পড়াশোনা করেন তিনি।

রয়্যাল শেক্সপিয়ার কোম্পানি (RSC)-এর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে পেশাদার অভিনয় জীবন শুরু করেন নিকি। এরপর ধীরে ধীরে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।

২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নববর্ষ’ (NW) ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাফটা-র মনোনয়ন পান তিনি। মঞ্চেও তিনি সমান জনপ্রিয়, ইবসেনের ‘দ্য লেডি ফ্রম দ্য সি’ নাটকে তাঁর অভিনয় দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়।

টেলিভিশনেও নিকি আমুকা-বার্ড-এর কাজের তালিকা বেশ দীর্ঘ। ‘অ্যাভিনিউ ফাইভ’, ‘সিতাদেল’, এবং ‘আই, জ্যাক রাইট’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজে তাঁর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না এবং বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করেন।

সাক্ষাৎকারে নিজের ভয়ের কথা বলতে গিয়ে নিকি জানান, বাদুড়ের আনাগোনা দেখলে তিনি ভয় পান। আত্মবিশ্বাসের অভাবকে তিনি নিজের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

যদি নিজের জীবনের ওপর কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, তাহলে তিনি চান ‘রুপল’স ড্রাগ রেস’-এর কুইনরা তাঁর বিভিন্ন বয়সের চরিত্রে অভিনয় করুক।

তাঁর মতে, মানুষ হিসেবে তিনি যথেষ্ট ইতিবাচক, সৃজনশীল এবং প্রতিকূলতা জয় করতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ভ্রমণে অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে তাঁর ভালো লাগে না।

নিকির সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি হলো তাঁর মায়ের অ্যান্টিগার বাড়িটি, যেখানে তিনি অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পান।

তিনি সবসময় মানুষকে ভালোবাসেন, তাঁর মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, ভালোবাসা যেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

নিকির ভাষায়, তিনি তাঁর মাকে ভালোবাসেন, কারণ তাঁর মা সবসময় অন্যদের ধারনার বাইরে গিয়ে বাঁচতে শিখিয়েছেন।

ভবিষ্যতে তিনি শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে আরও ফিট রাখতে চান, যাতে করে নাচের মতো শারীরিক ক্রিয়াগুলি উপভোগ করতে পারেন। তাঁর পছন্দের সেলিব্রিটি হলেন টিল্ডা সুইন্টন।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *