নোবুর অজানা গল্প! রেস্টুরেন্ট সাম্রাজ্যের ভিতরের কথা!

বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করা জাপানি শেফ নোবুয়ুকি মাতসুহিসা, যিনি ‘নোবু’ নামেই পরিচিত, তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত একটি নতুন তথ্যচিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষ থেকে বিশ্বখ্যাত রন্ধনশিল্পী হয়ে ওঠার পেছনের গল্প।

পরিচালক ম্যাট টার্নারের এই চলচ্চিত্রটি শুধু একটি রেস্টুরেন্টের সাম্রাজ্যের কাহিনী নয়, বরং এটি অধ্যবসায়, রন্ধন শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছানোর এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

নোবুর শৈশব, তাঁর ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের নানা উত্থান-পতন, সবকিছুই এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে তিনি যে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, এমনকি একসময় সবকিছু হারানোর পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেকথাও ছবিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাঁর মেয়ে জুনকো মাতসুহিসা বাবার সেই কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে জানান, “বাবা সত্যিই খুব খারাপ সময় পার করেছিলেন।”

এই তথ্যচিত্রে নোবুর বন্ধু এবং সহযোগী, বিখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিশেষ দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। ডি নিরোকে প্রায়ই নোবুর রেস্টুরেন্টে দেখা যায় এবং তিনি তাঁর খাবারের গুণমুগ্ধ।

ডি নিরো নিজে বলেছেন, “নোবুর খাবার এত অসাধারণ ছিল যে, আমি তাঁকে নিউ ইয়র্কে একটি রেস্টুরেন্ট খোলার কথা বলেছিলাম।”

ছবিতে দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে নোবুর রেস্টুরেন্টগুলোতে আসা-যাওয়া করা তারকাদের মধ্যে রয়েছেন অপরাহ উইনফ্রে, টম ক্রুজ এবং জর্জ ক্লুনির মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিরা। এই তথ্যচিত্রটি শুধু একজন শেফের জীবনীর প্রতিচ্ছবি নয়, বরং বিশ্বজুড়ে কিভাবে একটি রেস্টুরেন্ট সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়েও আলোকপাত করে।

পরিচালক ম্যাট টার্নার জানান, নোবুর আত্মজীবনী পড়ার পরেই তাঁর জীবন ও কর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তিনি বলেন, “নোবুর আত্মজীবনী আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

তিনি একজন সফল শেফ, যিনি একটি ছোট পারিবারিক রেস্টুরেন্ট থেকে বিশ্বব্যাপী একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তাঁর অধীনে ৫৩টি রেস্টুরেন্ট এবং ১৮টি হোটেল রয়েছে।”

আগামী ২৭শে জুন নিউ ইয়র্ক শহরে এবং ২রা জুলাই বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেতে যাওয়া এই তথ্যচিত্রটি দর্শকদের জন্য রন্ধনশিল্প, অধ্যবসায় এবং সাফল্যের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *