যুক্তরাষ্ট্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ আদালতের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা অবশেষে মিটেছে। নর্থ ক্যারোলিনার সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী বিচারক জেফারসন গ্রিফিন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী অ্যালিসন রিগসের বিরুদ্ধে আনা ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে রিগসের জয় নিশ্চিত হলো। নির্বাচনে গ্রিফিন সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন।
এরপর তিনি কিছু নির্বাচনী ত্রুটি এবং অন্যান্য কারিগরি বিষয় উল্লেখ করে ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। গ্রিফিন মূলত ডেমোক্রেট অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে হওয়া কিছু ভুলের ওপর জোর দিয়েছিলেন, তবে নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোট জালিয়াতির প্রমাণ তিনি হাজির করতে পারেননি।
প্রথমে হওয়া ভোট গণনার পর, পুনরায় গণনা করা হলেও, দেখা যায় রিগস ৭৩৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এরপর গ্রিফিন আদালতের কাছে এই ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
তাঁর আইনজীবীরা নির্বাচনের নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, গ্রিফিনের এই পদক্ষেপ ছিল নজিরবিহীন। কারণ এর আগে কোনো পরাজিত প্রার্থী এমনভাবে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা করেননি।
যদি গ্রিফিন সফল হতেন, তাহলে ভবিষ্যতে সামান্য ত্রুটি দেখিয়ে ফল পরিবর্তনের প্রবণতা বাড়তো, যা গণতন্ত্রের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারতো।
গ্রিফিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি বৈধ ভোটের গণনা নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। তিনি আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে একমত না হলেও, আদালতের রায়কে সম্মান জানা रहेছেন।
তাই তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না।
এই ঘটনার মাধ্যমে, একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, সামান্য কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা হলে, তা গণতন্ত্রের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন