মার্কিন মুলুকে জন্ম, ভোট বাতিলের হুমকিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের একটি আসনের নির্বাচনে ভোট গণনার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা এখন আইনি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কিছু ভোটারের ভোট বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এই বিতর্কের মূল কারণ হলো, যারা নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাস করেন না, কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কিছু ভোটারের ভোট নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার হয়তো তাদের ভোটিং ফর্মে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।

এদের ‘নেভার রেসিডেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, অর্থাৎ, যারা আগে কখনো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেননি।

জোসাইয়া ইয়ং নামের এক তরুণ এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসে পড়েছেন। তিনি স্পেনে পড়াশোনা করার সময় অনলাইনে ভোট দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, সম্ভবত ভোটিং ফর্মে একটি ভুল চিহ্নিত করার কারণে তার ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইয়ংয়ের মতো আরও অনেকের ভোট বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে।

রিপাবলিকান প্রার্থী জেফারসন গ্রিফিন এই ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, কিছু ভোটার ভুলভাবে নিজেদের ‘নেভার রেসিডেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যদিও রাজ্যের আইন অনুযায়ী, বাবা-মায়ের সূত্রে রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারেন।

এই ঘটনার আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলছে। নর্থ ক্যারোলিনা সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিকভাবে কিছু ‘নেভার রেসিডেন্ট’-এর ভোট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে এবং বিষয়টি এখন ফেডারেল আদালতে বিচারাধীন।

এদিকে, রাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, সম্ভবত অনেক ভোটার আবেদন করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এমন বিতর্কের কারণে অনেকে তাদের ভোটাধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য এমন কৌশল গ্রহণ করা গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগের কারণ। কারণ এর ফলে ভোটারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।

বর্তমানে, মামলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ভিত্তিতে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

এই মামলার চূড়ান্ত পরিণতি এখনো অজানা। তবে, এটি স্পষ্ট যে, নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং প্রত্যেক ভোটারের অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *