প্রখ্যাত নরওয়েজিয়ান লেখক ইনগার আম্বিয়র্নসেনের জীবনাবসান!

বিখ্যাত নরওয়েজীয় লেখক ইনগার অ্যাম্বিয়োর্নসেনের প্রয়াণ, বয়স ছিল ৬৯ বছর। সমাজের প্রান্তিক মানুষ এবং দুর্বলদের নিয়ে লেখালেখি করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি।

তাঁর লেখার ধরণ ছিল একইসঙ্গে তীক্ষ্ণ এবং সহানুভূতিশীল। গত শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

প্রকাশনা সংস্থা ক্যাপেলেন ড্যাম এই খবরটি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুসফুসের সমস্যা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)-তে ভুগছিলেন।

নরওয়ের একটি ট্যাবলয়েড, ভিজি, জানিয়েছে যে অ্যাম্বিয়োর্নসেনের স্ত্রী গ্যাব্রিয়েল হাফস শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর দেন।

১৯৫৬ সালের ২০শে মে, নরওয়ের টোনসবার্গে জন্মগ্রহন করেন ইনগার অ্যাম্বিয়োর্নসেন। জার্মানির লেখক ওয়েবসাইটে শহরটিকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘নরওয়ের সবচেয়ে বেশি বার-পূর্ণ শহর’ হিসেবে।

পরবর্তীতে তিনি লারভিকে বেড়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন ধরনের পেশায় কাজ করেন, যেমন শিল্প ও মনোচিকিৎসা। ১৯৮১ সালে তিনি প্রথম একটি প্রামাণ্য উপন্যাস প্রকাশ করেন।

এর চার বছর পর তিনি হামবুর্গে চলে যান এবং সেখানেই বহু বছর বসবাস করেন।

প্রকাশনা সংস্থাটি জানায়, “তাঁর বইগুলোতে জীবনের কঠিন দিকগুলো বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।” অ্যাম্বিয়োর্নসেন তাঁর ‘এলিং’ চরিত্রটির ওপর ভিত্তি করে লেখা চারটি উপন্যাসের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।

এই চরিত্রটি একজন লাজুক ও কল্পনাপ্রবণ মানুষ, যিনি মানসিক হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দৈনন্দিন জীবনের মজার কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে মানিয়ে চলেন।

‘এলিং’ কমেডি চলচ্চিত্রটি ২০০১ সালে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এই গল্পটি ২০১০ সালে ব্রডওয়েতেও মঞ্চস্থ হয়, যেখানে ডেনিস ও’হারে এবং ব্রেন্ডন ফ্রেজার অভিনয় করেন।

উল্লেখ্য, নাটকের একটি চরিত্রে দেখানো হয় মায়ের প্রতি তীব্র আকর্ষণ এবং অন্যজন যৌনতার প্রতি আচ্ছন্ন।

অ্যাম্বিয়োর্নসেন ১৮টি উপন্যাস, তিনটি ছোট গল্পের সংকলন এবং শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। তাঁর লেখা একটি নতুন ছোট গল্পের সংকলন আগামী ৩১শে জুলাই নরওয়েতে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই লেখকের কাজ বাংলা সাহিত্য প্রেমীদেরও আকৃষ্ট করবে, কারণ তাঁর লেখায় সমাজের দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষের প্রতি গভীর সহানুভূতি বিদ্যমান ছিল।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *