মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসছে নতুন পুলিশ! শুনলে গা শিউরে উঠবে

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত, বাড়ছে আইস-এর ক্ষমতা

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বিষয়ক আইন-কানুন আরও কঠোর হতে চলেছে। দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) সংস্থাটিকে শক্তিশালী করতে বিশাল অংকের অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন এই পদক্ষেপে সংস্থাটির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা অভিবাসন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইস-এর নতুন বাজেট ও কর্মপরিধি

আইস-কে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিশাল অর্থ দিয়ে সংস্থাটি নতুন করে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে এবং ১ লাখের বেশি মানুষের জন্য ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ অর্থ দেশটির অন্য যেকোনো ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ে অনেক বেশি।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আইস-কে এফবিআই, এটিএফ, ডিইএ, ইউএস মার্শাল সার্ভিস এবং ব্যুরো অফ প্রিজনস-এর সম্মিলিত বাজেট থেকেও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে।

আইস-এর কর্মপরিধি ও উদ্বেগের কারণ

নতুন এই অর্থায়নের ফলে আইস-এর কার্যক্রম আরও দৃশ্যমান হবে। অনেক মার্কিন নাগরিক প্রথমবারের মতো তাদের জীবনে অভিবাসন বিষয়ক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর ফলে সাধারণ নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

এছাড়া, অভিবাসন আইনের সামান্য ভঙ্গের দায়েও অনেককে আটক করার সম্ভাবনা রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। দ্রুত কর্মী নিয়োগের কারণে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং তদারকির অভাব হতে পারে, যা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্ম দিতে পারে। অতীতেও দেখা গেছে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে গিয়ে কর্মী নিয়োগে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ অনেক ক্ষেত্রে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে।

আইস-এর বিতর্কিত কার্যক্রম

আইস-এর কর্মীরা প্রায়ই মুখ ঢেকে কাজ করেন, যা তাদের কার্যক্রমকে আরও রহস্যজনক করে তোলে। কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মীদের সুরক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সমালোচকদের মতে, এটি অনেকটা গোপন পুলিশের মতো, যা কর্তৃত্ববাদী শাসনের ইঙ্গিত দেয়।

আটককৃতদের প্রোফাইলে পরিবর্তন

আগে যেখানে আইস-এর আটকের প্রধান লক্ষ্য ছিল অপরাধী, সেখানে এখন সামান্য অভিবাসন আইন ভঙ্গের দায়েও অনেককে আটক করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালে আটককৃতদের মধ্যে যাদের অপরাধের রেকর্ড নেই, তাদের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে, আটককৃতদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এমন লোক, যাদের বিরুদ্ধে কেবল নাগরিকত্ব বিষয়ক অভিযোগ রয়েছে।

ভবিষ্যতের প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে এবং যারা নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হতে পারে। এছাড়াও, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *